Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

China’s Treasure Hunt: চিনের পায়ের নীচে লুকিয়ে ‘অনন্ত শক্তির উৎস’, ফুরোবে না ৬০ হাজার বছর ধরে জ্বললেও

China's Treasure Hunt: কিন্তু কেন এই থোরিয়াম ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদন করছে না চিন সরকার? ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, থোরিয়ামকে শক্তির উৎস হিসাবে ব্যবহার করার জন্য় যে কাঠামো প্রয়োজন তা এখনও তৈরি করে উঠতে পারেনি চিন।

China's Treasure Hunt: চিনের পায়ের নীচে লুকিয়ে 'অনন্ত শক্তির উৎস', ফুরোবে না ৬০ হাজার বছর ধরে জ্বললেও
প্রতীকী ছবিImage Credit source: PTI | Getty Image
Follow Us:
| Updated on: Mar 29, 2025 | 12:41 PM

বেজিং: এই ভূপৃষ্ঠের গভীরে ঠিক কী কী মজুত আছে, তার সম্পূর্ণ খতিয়ান কি আমাদের কাছে রয়েছে? হাজার হাজার বছর ধরে প্রলেপ পড়া এই পৃথিবীর পৃষ্ঠের তলে লুকিয়ে রয়েছে কত না পৃথিবী। যার সম্পূর্ণটা আজও মানবসভ্যতার কাছে অজানা।

এই ভূপৃষ্ঠে খনন চালাতে গিয়েই মধ্যপ্রাচ্য পেয়েছিল তেলের খনি। ভারত পেয়েছে একাধিক কয়লার খনি। মিলেছে হীরের খোঁজ। এছাড়াও, পাওয়া গিয়েছে কত না মূল্যবান ধাতু ও ইতিহাস। তবে এই সব দেশের তুলনায় এবার মনে হয় কয়েক ধাপ বেশিই এগিয়ে যেতে চলেছে চিন।

তাদের হাতে এসেছে অন্য ঘরানার সম্পদ। কেউ কেউ বলছেন, চিন সঠিক ভাবে এই সম্পদকে ব্যবহার করতে পারলে হয়ে উঠে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ। কী এমন পেল তারা?

চিনের অন্যতম সংবাদমাধ্যম সাউথ চিনা মর্নিং পোস্ট (South China Morning Post) অনুযায়ী, চিন একদম নিজেদের পায়ের তলায় পেয়ে গিয়েছে ‘অনন্ত শক্তির উৎস’। ২০২০ সালে শেষ হওয়া একটি ভূগর্ভস্থ সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, সেই দেশের একদম গহ্বরেই লুকিয়ে রয়েছে থোরিয়াম ধাতুর ভান্ডার।

বলে রাখা ভাল, চিনের শিজাং প্রদেশ, যা তিব্বতের অন্তর্গত, সেখানেই রয়েছে এই ভান্ডারটি। ২০০৮ সালেই এই থোরিয়ামের হদিশ পেয়েছিল চিন। সেই সময় একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, এই থোরিয়াম ধাতুকে শক্তির উৎস হিসাবে ব্যবহার করা হলে, আমেরিকার মতো দেশের প্রতিটি বাড়িতে টানা হাজার বছরের জন্য ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

কিন্তু সম্প্রতি ফের সমীক্ষা করা হলে জানা যায়, এই থোরিয়াম যতটা শক্তিশালী ভেবেছিল বিজ্ঞানীরা, এটি তার থেকেও কয়েক ধাপ উপরে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, বায়ান ওবো খনিকে সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার করলে, এটি আগামী ৬০ হাজার বছরের জন্য চিনের জ্বালানির খিদে মিটিয়ে দিতে পারে। এই প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ভূতত্ত্ববিদ সেই দেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘গত কয়েক শতাব্দী ধরে চিন নিজের গহ্বরে লুকিয়ে থাকা জ্বালানিকে গুরুত্ব না দিয়ে অন্য রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে জ্বালানি নিয়ে যুদ্ধ করে যাচ্ছে।’

কিন্তু কেন এই থোরিয়াম ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদন করছে না চিন সরকার? ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, থোরিয়ামকে শক্তির উৎস হিসাবে ব্যবহার করার জন্য় যে কাঠামো প্রয়োজন তা এখনও তৈরি করে উঠতে পারেনি চিন। সেই কারণে দাঁত থাকতেও, জেনে বুঝে দাঁতের মর্যাদা দিতে পারছে না তারা।