Sri Lanka Crisis : মাহিন্দার ইস্তফাতেও নেভেনি লঙ্কার আগুন, বিক্ষোভকারীদের রোষানলে মৃত এক সাংসদ

Sri Lanka Crisis : সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন মাহিন্দা রাজাপক্ষ। তারপরেও গণরোষের মুখে পড়েন শাসকদলের একাধিক মন্ত্রী ও সাংসদরা। এই বিক্ষোভে প্রাণ গেল শাসকদলের এক সাংসদের।

Sri Lanka Crisis : মাহিন্দার ইস্তফাতেও নেভেনি লঙ্কার আগুন, বিক্ষোভকারীদের রোষানলে মৃত এক সাংসদ
নিজস্ব ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 09, 2022 | 8:13 PM

কলম্বো : লঙ্কাকাণ্ড শ্রীলঙ্কায়! দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে সেখানে। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে গত কয়েকমাস ধরেই দেশের প্রশাসনিক কর্তাদের বিরুদ্ধে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। চাপের মুখে পড়ে এদিন পদত্যাগ করেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষ। তারপরও থামছে না বিদ্রোহের আগুন। মাহিন্দার ইস্তফার পর তাঁর কয়েক হাজার সমর্থনকারীরা সরকারি বাসভবনে এসে জড়ো হন। তাঁদের দেখেই বিক্ষোভকারীরা এলোপাথাড়ি ইট বৃষ্টি শুরু করে। সাংসদ ও মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের রোষানলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে শাসকদলের এক সাংসদের। এছাড়াও আরও একজনের প্রাণ গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জখম হয়েছেন কম করে ৭৮ জন।

বেশ কয়েক মাস ধরেই শ্রীলঙ্কার রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভের ছবি ধরা হয়েছে। এই দ্বীপরাষ্ট্রের স্বাধীনতার পর এই প্রথম এত বড় অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছে লঙ্কা। বিদ্যুৎ, জ্বালানির অভাবে শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছে সেদেশের সাধারণ মানুষ। এই চাপের মুখে পড়ে এদিন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন মাহিন্দা রাজাপক্ষ। তারপর সরকারি বাসভবনে তাঁর হাজারের বেশি সমর্থনকারী বাস নিয়ে হাজির হন। সেখানে সকাল থেকেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন দেশের সাধারণ নাগরিক। এরপর তাঁদের উপর গুলি চালান শাসকদলের এক সাংসদ অমরকীর্তি আতুওয়ালার। তার কিছুক্ষণ পর বিক্ষোভস্থল থেকে উদ্ধার শ্রীলঙ্কার আইনসভার সদস্য অমরকীর্তি আতুওয়ালার দেহ। বিক্ষোভকারীরা সাংসদ ও মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। শাসকদল ও বিক্ষোভকারীদের ঝামেলায় জখম হয়েছেন কম করে ৭৮ জন। তাঁদের কলম্বো ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিনের বিক্ষোভ ও ঝামেলার ঘটনার পর সেদেশে কার্ফু জারি করা হয়েছে। এদিকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টুইট করে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন।  তিনি লিখেছেন, “এই হিংসার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এই ধরনের হিংসার ঘটনা সাম্প্রতিক সমস্যার সমাধান করবে না।”