UN Assembly: রাষ্ট্রপুঞ্জের নয়া দূত সুহেল শাহিন, বিশ্বনেতাদের সঙ্গে কথা বলতে চায় তালিবান

Taliban asks to Address UN Assembly: তালিবানি বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি সোমবারই রাষ্ট্রপুঞ্জের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্তেনিও গাতেরাসকে অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছেন।

UN Assembly: রাষ্ট্রপুঞ্জের নয়া দূত সুহেল শাহিন, বিশ্বনেতাদের সঙ্গে কথা বলতে চায় তালিবান
সুহেল শাহিন। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2021 | 8:47 AM

কাবুল: সরকার হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করতে আরও এক ধাপ এগোলো তালিবানরা (Taliban)। চলতি সপ্তাহেই রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে (United Nations General Assembly) বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় তারা, এমনটাই জানানো হয়েছে তালিবানের তরফে। একইসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসাবে তালিবানি মুখপাত্র সুহেল শাহিন(Suhail Shaheen)-র নামও সুপারিশ করা হয়েছে।

রয়টার্স সূত্রে খবর, তালিবানি বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি (Amir Khan Muttaqi) সোমবারই রাষ্ট্রপুঞ্জের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্তেনিও গাতেরাস(Antonio Guterres)-কে অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছেন। আগামী সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক রয়েছে, তাতে অংশ নিতে চায় এবং নতুন আফগানিস্তান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি, লক্ষ্য তুলে ধরতে চায় তালিবান, এমনটাই জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।

অ্যান্তেনিও গাতেরাসের মুখপাত্র ফারহান হক মুত্তাকির চিঠি পাঠানোর খবরটি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তালিবানের তরফে রাষ্ট্রপুঞ্জে আফগানিস্তানের আসন নিয়ে নয় সদস্যের কমিটির কাছে ইতিমধ্যেই আবেদন পাঠানো হয়েছে। এই কমিটির সদস্য আমেরিকা, চিন ও রাশিয়ার মতো শক্তিশালী দেশগুলি। সোমবারের আগে এই কমিটি তালিবানের আবেদন নিয়ে বৈঠকে বসবে না বলেই জানা গিয়েছে, সুতরাং আগামী সপ্তাহে রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে তালিবানের বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য রাখার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর থেকেই বিশ্বের প্রতিটি দেশই তালিবানের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে নজর রাখছে। এদিকে, কেবল সরকার গঠন করেই তালিবানের দায়িত্ব শেষ হয়নি। ইসলামিক এমিরেটস অব আফগানিস্তানকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাইয়ে দিতে উঠে পড়ে লেগেছে তালিবান সরকার। তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পরই একাধিক দেশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, তারা তালিবান সরকারকে সমর্থন করবে না। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের “উগ্রপন্থী” পরিচয় ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তালিবান।

অন্যদিকে, ২৫ সেপ্টেম্বর সার্ক (SAARC) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বার্ষিক সভা থাকলেও তা বাতিল করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, সার্কের বৈঠকে আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রীকেও যুক্ত করার দাবি তুলেছিল পাকিস্তান। কিন্তু সার্কের বেশিরভাগ সদস্য দেশই পাকিস্তানের এই ‘আবদার’ মেটাতে রাজি নয়। আর সেই কারণেই বাতিল করা হয়েছে বৈঠক।

আন্তর্জাতিক মহলের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, তালিবানিদের সরকার হিসাবে স্বীকৃতি দিতে তারা কোনও তাড়াহুড়ো করতে চান না। তবে প্রশ্ন উঠছে, আফগানিস্তান আগে থেকেই রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য় হওয়ায় নতুন তালিব সরকারকেও কি জায়গা দেওয়া হবে?  যদি স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তবে কতদূর তাদের স্বাধীনতা দেওয়া হবে?

রাষ্ট্রপুঞ্জের মুখপাত্র স্টেফানি ডুজারিক জানিয়েছেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর আফগান রাষ্ট্রদূত গুলাম ইশাকজ়াই চিঠি পাঠিয়েছিলেন অ্যান্তেনিও গাতেরাসকে। সেখানে রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় আফগানিস্তান থেকে কারা প্রতিনিধি হিসাবে অংশ নেবেন, তা জানানো হয়েছিল। কিন্তু চলতি সপ্তাহের সোমবারই ইসলামিক এমিরেটস অব আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের তরফে চিঠি পাঠিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় অংশগ্রহণের আবেদন জানানো হয়।

তালিব সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসরাফ ঘানি দেশ ছেড়ে পালানোর পর থেকেই  ইশাকজ়াই আর আফগানিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করেন না। তাদের তরফে মহম্মদ সুহেল শাহিনকে রাষ্ট্রপুঞ্জের দূত হিসাবে মনোনাীত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: SAARC Meeting Cancelled: তালিবান বিদেশমন্ত্রীকে ডাকতেই হবে বৈঠকে, ইসলামাবাদের ‘আবদার’ না মানায় বাতিল বৈঠক