আফগান-পাক সীমান্তও দখল নিল তালিবানরা, পরবর্তী লক্ষ্য কি তবে একসময়ের ‘আশ্রয়দাতা’ই?
Taliban Insurgence in Afghanistan: তালিবান মুখপাত্র জ়াবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে সংযোগকারী ওয়েশ-চমন সীমান্ত বর্তমানে তাদের দখলে রয়েছে।
ইসলামাবাদ: এ বার পাক সীমান্তের দিকেও এগোচ্ছে তালিবান সন্ত্রাসবাদীরা। বুধবার তালিবানরা দাবি করে, তারা দক্ষিণ কান্দাহারের একটি শহরও দখল নিয়েছে। পাকিস্তানের বালোচিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তান সীমান্ত জুড়েছে এই শহর। এ দিকে, তালিবানরা যে গতিতে এগোচ্ছে, সেই ভয়ে পাকিস্তান ইতিমধ্যেই চমন-বলদাক সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। তালিবান অধ্যুষিত আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে বাণিজ্য ও যাতায়াত প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।
তালিবান নেতাদের দাবি, দক্ষিণ আফগান প্রদেশের ওয়েশ শহরে শান্তিপূর্ণভাবেই দখল নেওয়া হয়েছে এবং ৫০ জন সীমান্তরক্ষীও আত্মসমর্পণ করেছেন। সেখানের বাড়িগুলিতে পাক তালিবান পতাকাও উত্তোলন করা হয়েছে। তালিবানদের এক মুখপাত্র জ়াবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে সংযোগকারী ওয়েশ-চমন সীমান্ত বর্তমানে তাদের দখলে রয়েছে।
একটি টুইটার পোস্টে মুজাহিদ জানিয়েছেন যে, আপাতত সীমান্তবর্তী ওই এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব তালিবানের এবং পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি বা সহমত তৈরি হলেই ফের ওই সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্য প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। ইতিমধ্যেই ইরান ও তুর্কমেনিস্তানের সঙ্গে আফগান সীমান্তেও দখল নিয়েছে তালিবানরা। অভ্যুত্থান বৃদ্ধি পেতেই শতাধিক আফগান সেনা প্রতিবেশী দেশ তাজিকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছে এবং সেনা একাংশ তালিবানদের কাছে আত্মসমর্পণও করেছে।
এ দিকে, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে টুইট করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি টুইটে লেখেন, “আফগানিস্তানের বাসিন্দা থেকে শুরু করে গোটা বিশ্ব একটাই তিনটি জিনিসই চায়। ১. স্বাধীন, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশ। ২. সাধারণ নাগরিক ও রাষ্ট্রদূতদের উপর হামলা ও হিংসার ঘটনা বন্ধ করা এবং রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে মতানৈক্য মিটিয়ে নেওয়া। ৩. প্রতিবেশী দেশগুলি যাতে সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিনতাবাদ ও উগ্রপন্থায় প্রভাবিত না হয়।” শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে জানান ভারতের বিদেশমন্ত্রী। আরও পড়ুন: বিশ্লেষণ: হাতের তালুতে আফগানিস্তান, ৬ মাসের মধ্যেই ইতিহাস পাল্টে দেবে তালিবান! |