‘মেয়েরা পড়বে, চাকরি করবে’, তালিব-কন্ঠে ‘সহিষ্ণুতা’র সুর! পুরোটাই কি লোক দেখানো?
Afghanistan: সীমান্তে সীমান্তে আফগানিস্তান থেকে শরণার্থী-স্রোত। দেশ ছাড়ার ভিড় কাবুল বিমানবন্দরে। তালিবানের ভয়ে কাঁপছে মাজার থেকে হেলমন্দ।
কাবুল: আফগানিস্তান তালিবানের হাতে যেতেই হাহাকার দুনিয়া জুড়ে। নারকীয় ভবিষ্যতের কথা ভেবে আকুল সবাই। কী হবে মানবাধিকারের? নারী-শিশুর সুরক্ষার? ভয়ে দেশ ছাড়ছেন হাজার হাজার আফগান। কিন্তু এ এক অদ্ভূত আশ্বাস দিচ্ছে তালিবান। তালিবানিরা বলছে, ‘দুশ্চিন্তা নেই’। বিশ্বের দরবারে ইমেজ মেকওভার? নাকি সত্যিই দায়িত্বশীল হতে চায় তালিবরা?
সীমান্তে সীমান্তে আফগানিস্তান থেকে শরণার্থী-স্রোত। দেশ ছাড়ার ভিড় কাবুল বিমানবন্দরে। তালিবানের ভয়ে কাঁপছে মাজার থেকে হেলমন্দ। মহিলাদের ভয়ে, গত কয়েক বছরে যা প্রাপ্তি, সব কি ধুলোয় মিশে যাবে? সবচেয়ে ভয়ে আফগান সেনা, আফগান কর্তারা। অনেকেই অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বেরোতে পারেননি, এমন সংখ্যাই বেশি। কী হবে তাঁদের?
তালিবান অবশ্য আশ্বাস দিয়েছে, ভয় নেই। তারা কোনও বদলার পথে হাঁটতে চায় না। বদলের মন্ত্রেই বিশ্বাসী তারা। আফগান সেনা বা আফগান সরকারি কর্তাদের উপর কোনও বদলা নেওয়া হবে না। কেউ চাইলে দেশ ছাড়তে পারেন। কিন্তু দেশ ছেড়ে পালানোর দরকার নেই। দূতাবাস আক্রমণ নয়, বলা হয়েছে তা-ও। এমনও নাকি বলছে, মহিলাদের তালিব-আশ্বাস, চাইলেই পড়াশোনা করা যাবে। করা যাবে চাকরিও। তবে হিজাব পরতেই হবে।
সাক্ষাত্কারে একই কথা বলেছেন তালিবান মুখপাত্র সোহেল শাহিনও। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন আফগানিস্তানের শাসকের ভূমিকায় বসতে চলেছে তালিবান। এই অবস্থায় অন্য দেশের কাছে নিজেদের সরকারের স্বীকৃতি প্রয়োজন। তাই প্রয়োজন ইমেজ মেকওভারেরও। কূটনৈতিক যুদ্ধে জিততে যার প্রয়োজনীয়তা বিপুল। রবিবার বিকেলেই দেশ ছেড়েছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। তালিবান যে বদলার পথে হাঁটছে না, খানিকটা হলেও স্পষ্ট এতে। শাসক-জনতা সম্পর্কও ঠিক হওয়া দরকার। কাবুল তো বটেই, বহু শহরেই দেখা গিয়েছে, জনতা ভিড় করে মুজাহিদিনদের অভ্যর্থনা করছে।
There is calm in most parts of Afghanistan. Almost all political persons like ministers have left Kabul. Around 200 people have come to Delhi. I feel this is new Taliban that will allow women to work: Rizwanullah Ahmadzai, senior advisor to Afghan president, after reaching Delhi pic.twitter.com/no55CExJWG
— ANI (@ANI) August 15, 2021
Taliban spokesman Zabihullah Mujahid says in order to prevent looting and chaos their forces will enter some parts of Kabul, #Afghanistan & occupy outposts that have been evacuated by security forces. He asks the people to not panic from their entrance into the city: TOLOnews pic.twitter.com/LBevpNQ53h
— ANI (@ANI) August 15, 2021
এই অবস্থায় নজর বিভিন্ন দেশের দিকে। কী করবে তারা? আমেরিকা জানিয়েছে, দূতাবাসের কর্মীদের সরানোর প্রক্রিয়া চলবে। রাশিয়া সে পথে হাঁটছে না। রাত পর্যন্ত ভারতও অবস্থান স্পষ্ট করেনি। তবে ব্রিটেন দূতাবাস খালি করে দিচ্ছে। দুপুরে খবর আসে, মার্কিন দূতাবাসের কাছ থেকে ধোঁয়ায় ঢাকছে আকাশ। যদিও দূতাবাসের কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। বরং, বিশ্বের কটাক্ষে আমেরিকা। উঠে এসেছে সাইগনের সঙ্গে কাবুলের তুলনা। পঁচাত্তরে যে ভাবে ভিয়েতনাম থেকে পালিয়েছিল মার্কিন ফৌজ, এবার আফগানিস্তানে তারই পুনরাবৃত্তি, এ লব্জেই কটাক্ষ হেনেছে সোশ্যাল মিডিয়া। ভাইরাল কপ্টারের জোড়া ছবি। বিতর্কের ঝাঁজ এমনই, মুখ খুলতে হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে। যথারীতি, অস্বীকারের পথে হেঁটেছেন দু’জনেই। আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের তখতে কি আরও এক ঘানি? তালিবানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাই এবার কাবুলের মসনদে, জল্পনা তুঙ্গে