আফগানিস্তানের তখতে কি আরও এক ঘানি? তালিবানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাই এবার কাবুলের মসনদে, জল্পনা তুঙ্গে
Afghanistan: ২০০১ সালে মার্কিন সেনা যখন তালিবানি শাসনে ইতি টানে, তখন ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন বরাদর।
কাবুল: আফগানিস্তান দখলে নিয়েছে তালিবানরা। রবিবারই দেশ ছেড়েছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আসরাফ ঘানি। তিনি নাকি তাজাকিস্তানে চলে গিয়েছেন বলে খবর। এবার তো কাবুলের মসনদে কোনও তালিবানির বসার পালা। ইতিমধ্যেই শোনা যাচ্ছে, তিনিও আরেক ঘানি। নাম মোল্লা আবদুল ঘানি বরাদর।
কে এই মোল্লা বরাদর? ২০০১ সালে মার্কিন সেনা যখন তালিবানি শাসনে ইতি টানে, তখন ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন বরাদর। তালিবানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ২০১০ সাল থেকে পাকিস্তানের জেলে বন্দি ছিলেন মোল্লা বরাদর। তিন বছর আগে আমেরিকার আবেদনে সাড়া দিয়ে মুক্তি দেয় পাকিস্তান। তার পর থেকে দোহায় বসে ঘুঁটি সাজিয়েছেন আফগানিস্তান দখলের। ইসলামিক এমিরেটের প্রেসিডেন্ট হবে তিনি। খবর এমনই।
কোন পথে এল এই ক্ষমতা? এপ্রিলে আমেরিকা সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা করে। পরের মাসেই অর্থাৎ মে মাসে হেলমন্দ প্রদেশে আক্রমণ করে তালিবানরা। জুনে ৩৭০টি জেলার মধ্যে ৫০টি জেলাই দখলে নিয়ে নেয় তালিবানরা। দক্ষিণের বদলে উত্তর থেকে এবার আক্রমণ শুরু করে তালিবানি শক্তি।
২১ জুলাইয়ের মধ্যে তালিবানের কব্জায় চলে আসে অর্ধেক জেলা। ৬ অগস্ট প্রথম প্রাদেশিক রাজধানী জারাঞ্জ দখল করে তালিবানরা। এরপর ১৩ অগস্ট আরও চার প্রাদেশিক রাজধানীতে উড়তে থাকে তালিবানি নিশান।
১৪ অগস্ট তালিবানের দখলে যায় মাজার-ই-শরিফ। ১৫ অগস্ট প্রথমে জালালাবাদ। এরপরই দখলে নেয় আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। কাবুল দখলের পথে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি তালিবানি গেরিলা বাহিনীকে। বেশির প্রদেশেই আত্মসমর্পণ করে নিয়েছে গভর্নর থেকে সেনা। তালিবানের হাতে অনায়াসে চলে এসেছে সরকারি অস্ত্রসস্ত্র। তাই মাজার, জালালাবাদের পর কাবুল দখল ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। তবে পুরোপুরি ক্ষমতা হস্তান্তর হতে এখনও কিছুটা সময় লাগতে পারে। তার অন্যতম কারণ আফগানিস্তানে এখনও মার্কিন সেনার উপস্থিতি। রবিবারও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, অগস্টের শেষ পর্যন্ত সেনা থাকবে।
অন্যদিকে কাবুলে থাকা শতাধিক ভারতীয়কে নিয়ে দেশে ফিরল বিশেষ বিমান। তাঁদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তড়িঘড়ি ফেরানো হল আজ সন্ধ্যায়। বিমানে সওয়ারি ছিলেন ১২৯ জন। এঁদের মধ্যে ছিলেন আফগান নাগরিকরাও। তালিবান এতো দ্রুত কাবুলের দখল নেবে, সেটা আঁচ করা যায়নি। তা সত্ত্বেও একেবারে শেষ মুহূর্তে দেশে ফিরেছেন প্রবাসী ভারতীয়রা। আরও পড়ুন: সে দেশে এখন তালিবানি-রাজ, খোঁজ নেই মা-বাবা পরিজনদের! মন ভাল নেই কলকাতার আফগানিদের