সে দেশে এখন তালিবানি-রাজ, খোঁজ নেই মা-বাবা পরিজনদের! মন ভাল নেই কলকাতার আফগানিদের
Afghanistan: কলকাতায় দেড় থেকে দু' হাজার আফগান রয়েছেন। বাঙালিদের চোখে যাঁরা কাবুলিওয়ালা।
দূরত্ব ২ হাজার কিলোমিটারের বেশি। রবিবার কাবুল শহরতলি যখন কাঁপছে উত্তেজনায়, তখন কলকাতার ময়দানে ছুটির আমেজ। ইতস্তত ছড়িয়ে থাকা মানুষদের ভিড়ে টিভি নাইন বাংলা খুঁজে পেল কয়েকজন আফগানকে। ভারতের স্বাধীনতা দিবসের অবকাশ উদযাপন করছেন তারা। ক্রিকেট খেলছেন। কিন্তু মন পড়ে আছে দেশে। কলকাতার এক আফগান নাগরিক জানালেন, “তিন চারদিন হয়ে গেল খাওয়া দাওয়া করতে পারছি না। আমাদের দেশের অবস্থা খুবই খারাপ। ৪০ বছর হয়ে গেল এই ঝগড়ার। অবস্থা খুবই খারাপ।”
কলকাতায় দেড় থেকে দু’ হাজার আফগান রয়েছেন। বাঙালিদের চোখে যাঁরা কাবুলিওয়ালা। তাঁরা রয়েছেন রাজধানী দিল্লিতেও। অনেকে ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে। দিল্লির কাবুল দিল্লি রেস্তোরাঁ রবিবার থমথমে। বন্ধুরা কেমন আছে, দুশ্চিন্তায় আফগানরা। একই ছবি আফগানি বার্গারের দোকানে। দু’ দশক আগে তালিবানি শাসনের অবসানে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন আফগানরা। নিশ্চিন্তে ছিলেন প্রবাসীরাও। এখন আবার কি ভাগ্য বদল। রাজনীতিকে দুষছেন তাঁরা। কেমন একটা চুপচাপ হয়ে গিয়েছেন তাঁরা। কেউ হয়তো একাই দেশ ছেড়ে এসেছেন। কেউ আবার বড় জোর সঙ্গে এনেছেন স্ত্রী, সন্তান। কিছু পরিবারের বাকি তো সকলেই আফগানিস্তানে। কেমন আছেন, কোথায় আছেন কোনও খবরই পাচ্ছেন না কারও।
রবিবার রক্তপাত ছাড়াই কাবুল কব্জা করেছে তালিবান। এ দিন দুপুরেই তালিবানদের তরফে জানানো হয়েছে, তারা শান্তিপূর্ণভাবেই ক্ষমতার হস্তান্তর চায়। কাউকে শহর ছেড়ে যেতে হবে না। তালিবান বাহিনীকেও শহরের বাইরে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আত্মসমর্পণ এড়াতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আসরাফ ঘানি। তিনি নাকি প্রতিবেশি দেশ তাজিকিস্তানে গিয়েছেন। টোলো নিউজ নামক একটি সংবাদ মাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তান প্রশাসন ও তালিবানদের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা চললেও সরকার পতনের পরই পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন আসরাফ ঘানি। আরও পড়ুন: ফিরতে চাইছে না দেশে, ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আকুল আর্তি JNU-এর আফগানি ছাত্রদের