Helicopter Crash: ফেলে যাওয়া ‘ব্ল্যাক হক’ দিয়ে চলছিল তালিব প্রশিক্ষণ, ওড়ানোর চেষ্টা করতেই ঘটল ভয়ঙ্কর কাণ্ড…
Helicopter Crash: তালিবান শাসিত আফগান সরকারের প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র এনায়াতুল্লাহ খোয়াজমি জানান, সেনা প্রশিক্ষণের জন্য মার্কিন ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছিল। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেটি ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির চত্বরের ভিতরেই তা ভেঙে পড়ে।
কাবুল: এক বছর আগে আফগানিস্তানের চিত্রটা মনে আছে? তালিবান ক্ষমতা দখল করতেই লাখ লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে পালাচ্ছিলেন। কাবুল ছেড়েছিল অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরাও, সেনা প্রত্যাহার করেছিল আমেরিকা। তবে তালিবানের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করা সম্ভব হলেও, অস্ত্র সামগ্রী নিয়ে যেতে পারেনি মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী। ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছিল হাজার হাজার বন্দুক, সাঁজোয়া গাড়ি থেকে শুরু করে যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার। মার্কিন বাহিনীর ফেলে রাখা হেলিকপ্টার ওড়াতে গিয়েই এবার দুর্ঘটনার মুখে তালিব সেনা। মার্কিন সেনার ফেলে যাওয়া একটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার ওড়ানোর চেষ্টা করতেই, তাল কাবুলের তালিবান প্রশিক্ষণ শিবিরে ভেঙে পড়ল। দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফেই বিবৃতি জারি করে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
তালিবান শাসিত আফগান সরকারের প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র এনায়াতুল্লাহ খোয়াজমি জানান, সেনা প্রশিক্ষণের জন্য মার্কিন ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছিল। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেটি ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির চত্বরের ভিতরেই তা ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনায় তিনজন মারা গিয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ অগস্ট তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পরই মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীকে সে দেশ থেকে প্রত্য়াহার করে নেওয়া হয়। কিন্তু সেনা প্রত্যাহারের জন্য বিশেষ সময় না মেলায় বিপুল অস্ত্রভাণ্ডার ফেলে রেখে যায় মার্কিন বাহিনী। তবে তালিব সেনাও যাতে এই অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করতে না পারে, সেই কারণে আফগানিস্তান ছাড়ার আগে তারা যাবতীয় বিমান, হেলিকপ্টার বিকল করে দিয়ে যায়। ক্ষমতা হস্তান্তরের পরও তালিব সেনাদের ওই বিমানগুলি ওড়ানোর চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছিল।
গতকালের ঘটনাতেই প্রশ্ন উঠেছে যে, মার্কিন সেনার ফেলে রেখে যাওয়া অস্ত্র-শস্ত্র ও বিমানের মধ্যে এখনও কী কিছু সচল রয়েছে? যদি তা সচল থাকে, তবে বাকি বিশ্বের কাছে তা ঝুঁকিই বাড়াবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কূটনৈতিকরা।