ডেডলাইনের পর একদিনও নয়! মার্কিন সেনাকে কড়া হুঁশিয়ারি তালিবানের

৩১ অগস্ট পর্যন্ত ডেডলাইন রয়েছে মার্কিন সেনার। কিন্তু তারপরও আফগানিস্তানে সেনা রাখা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ডেডলাইনের পর একদিনও নয়! মার্কিন সেনাকে কড়া হুঁশিয়ারি তালিবানের
আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 23, 2021 | 8:08 PM

কাবুল: আফগানিস্তানে এখনও আটকে রয়েছে বহু মার্কিন নাগরিক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেছেন ডেডলাইনের পরও মার্কিন সেনা রেখে দেওয়া হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না সেখান থেকে সব মার্কিন নাগরিককে ফেরানো সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু, তালিবানের তরফে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে যাতে ডেডলাইনের পর একদিনও না থাকে মার্কিন সেনা। তাহলে চরম পরিণতি হতে পারে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। আগামী মঙ্গলবারই জরুরি ভিত্তিতে জি ৭ বৈঠকের ডাক দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আফগানিস্তানের বিষয়ে আলোচনা করার জন্যই এই বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। আর তার ঠিক আগেই তালিবানের এই কড়া হুুঁশিয়ারি।

তালিবানের তরফে মুখপাত্র সুহেল শাহিন জানিয়েছেন, ৩১ অগস্টই হল ‘রেড লাইন’, তারপর আর থাকা যাবে না। তিনি বলেন, ‘যদি ডেডলাইন বাড়ানো হয়, তাহলে তার পরিণতি খারাপ হবে। আমেরিকা বা ব্রিটেন কেউ যদি অতিরিক্ত সময় থাকতে চায়, তাহলে আমাদের উত্তর হবে না।’

আফগানিস্তানের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আজই বিশেষ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে আমেরিকার তরফে। পরিস্থিতি সামাল দিতেই এ বার নির্দেশিকা জারি করেছে মার্কিন বাহিনী। এই নির্দেশিকায় সাফ জানানো হয়েছে, একমাত্র কারা বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবেন। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করলেই হামিদ কারজ়াই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ করা যাবে। আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা, অনাবাসী ভিসা আবেদনকারী বা মার্কিন সরকারের সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত ব্যক্তি,যাদের বিশেষ নির্দেশ পাঠানো হয়েছে, কেবল তারাই হামিদ কারজ়াই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যেতে পারবেন। এ ছাড়া, যদি আপনার কাছে বৈধ তথ্য না থাকে, বা কোনও দেশে যাওয়ার আমন্ত্রণ না থাকে, তবে তাদের বিমানবন্দরের ভিতরে এবং উদ্ধারকারী বিমানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এক কথায় বলতে গেলে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্দেশ মতোই আমেরিকা আপাতত নিজেদের দেশের নাগরিকদের উদ্ধার কারিযেই মনোযোগী। বিনা কাগজপত্র বা অন্য কোনও দেশের তরফে আশ্রয় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছাড়া সাধারণ আফগান নাগরিকদের বিমানবন্দরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

৩১ অগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন নাগরিককে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা আগেই স্থির করেছে আমেরিকা। কিন্ত পরে সিদ্ধান্ত বদলের কথা জানান বাইডেন। তালিবানের দলে আফগানিস্তান চলে যাওয়ার পর প্রথম সাক্ষাৎকারে বাইডেন উল্লেখ করেন, ‘কোনও মার্কিনি যদি আফগানিস্তান ছাড়তে না পারেন, তাহলে আফগানিস্তানে থাকতে পারে মার্কিন সেনা। সবাইকে বের করে নিয়ে আসা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তবে কোন প্রক্রিয়ায় সেনার উপস্থিতির মেয়াদ বাড়ানো হবে, তা উল্লেখ করেননি বাইডেন।

মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরুর পরই শক্তি প্রদর্শন শুরু করেছিল তালিবানরা। যত মার্কিন সেনা সরেছে, ততই একের পর এক শহর দখল নিয়েছে তালিবানরা। আফগান সেনা মার্কিন বাহিনীর কাছে সাহায্যের আশা করলেও কার্যত হাত গুটিয়েই বসে ছিল তারা। তালিবানের হাতে গোটা আফগানিস্তানের ক্ষমতা চলে যাওয়ার পরই দোষারোপ শুরু হয়। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে শুরু করে কূটনীতিবিদরা সমালোচনা করে বলেছেন, বাইডেনের ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই আফগানিস্তানের এই হাল। আরও পড়ুন: যেকোনও মুহূর্তে হতে পারে হামলা! কারা যেতে পারবে বিমানবন্দরে, ঠিক করে দিল মার্কিন দূতাবাস