Children Murder Case: ২০১৫-তেই সন্দেহ হয়েছিল, ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই চিকিৎসকের কথা শুনলে বেঁচে থাকত ৪-৫টি শিশু

Britain Murder: ২০১৫ সালের জুন মাসে যখন প্রথম শিশুর মৃত্য়ু হয়, তখনই ওই পেডিয়াট্রিশিয়ান উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এরপরে যত সময় পার হয়, ততই আরও শিশুমৃত্যুর খবর আসতে থাকে।

Children Murder Case: ২০১৫-তেই সন্দেহ হয়েছিল, ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই চিকিৎসকের কথা শুনলে বেঁচে থাকত ৪-৫টি শিশু
এই চিকিৎসকই প্রথম সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন।Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 19, 2023 | 1:08 PM

লন্ডন: কখনও ফাঁকা সিরিঞ্জ ফুটিয়ে দিতেন, কখনও আবার  অতিরিক্ত দুধ খাইয়ে মেরে ফেলতেন নবজাতকদের। ব্রিটেনে নার্সের হত্যাকাণ্ড সামনে আসতেই শিউরে উঠছেন সকলে। নবজাতক, যারা অপরিণত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছে বা যাদের কোনও শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে, তাদেরই নিশানা বানাতেন ওই নার্স (Nurse)। এক বছরে ৭ জন নবজাতক শিশুকে খুন করেছিলেন ওই নার্স। মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন আরও ৬ শিশুকে। নিওন্য়াটাল ওয়ার্ডের (Neo-Natal Ward) দায়িত্বে থাকা ওই নার্সের কার্যকলাপ নিয়ে যারা প্রথম সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক চিকিৎসক (Indian Origin Doctor)।

উত্তর ইংল্যান্ডের চেস্টার হাসপাতালে ২০১৫ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে এই ঘটনা ঘটান ওই নার্স। নিওন্যাটাল ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা শিশুদের খুন করতেন তিনি। ওই হাসপাতালেই পেডিয়াট্রিশিয়ান হিসাবে কাজ করতেন ডঃ রবি জয়ারাম নামক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ চিকিৎসক। তিনি জানান, লুসি লেটবি নামক ওই নার্স সম্পর্কে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। সেই সময় যদি তাঁর কথায় গুরুত্ব দেওয়া হত, তবে আরও কয়েকটি শিশুর প্রাণ বাঁচানো যেত।

শুক্রবার ব্রিটেনের আদালতের তরফে ওই নার্সকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আগামী সোমবার এই মামলায় সাজা ঘোষণা করা হবে। এই খবর শোনার পরই চিকিৎসক বলেন, “আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে সঠিক সময়ে যদি সতর্ক হওয়া যেত, তবে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচজন শিশু আজ হয়তো স্কুলে যেত।”

২০১৫ সালের জুন মাসে যখন প্রথম শিশুর মৃত্য়ু হয়, তখনই ওই পেডিয়াট্রিশিয়ান উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এরপরে যত সময় পার হয়, ততই আরও শিশুমৃত্যুর খবর আসতে থাকে। ওই চিকিৎসক জানান, হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকরা একাধিকবার বৈঠকও করেন এবং নার্স লুসি লেটবির কার্যকলাপ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল। শেষ অবধি ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস ট্রাস্টের তরফে চিকিৎসকদের পুলিশে অভিযোগ জানাতে দেওয়া হয়।

পুলিশ ১০ মিনিটও শোনেননি, তার আগেই বুঝতে পারেন যে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় অস্বাভাবিক যোগ রয়েছে। শিশুমৃত্যুর পিছনে ওই নার্সের হাত থাকতে পারে। এরপরই তদন্ত শুরু হয় এবং অভিযুক্ত নার্সকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা গিয়েছে, মোট ১৩টি শিশুর উপরে হামলা চালিয়েছিল ওই নার্স। এর মধ্যে ৭ জন শিশুর মৃত্যু হয়। ৬ জন শিশু কোনওমতে প্রাণে রক্ষা পায়।

কীভাবে খুন করত শিশুদের?

কখনও ফাঁকা সিরিঞ্জ পুশ করে দিতেন ওই নার্স, আবার কখনও শিশুদের রক্তনালীতে ইনসুলিন দিয়ে দিতেন। শিশুদের গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ট্রাকে বাতাস ঢুকিয়ে দিতেন ওই নার্স। আবার কখনও শিশুদের অতিরিক্ত দুধ বা অন্য কোনও পানীয় খাইয়ে মেরে ফেলতেন।