Georgia: হাঁচি দিলেও ভেঙে যাচ্ছে হাড়, যমজ কন্যাদের এই অবস্থায় চোখে জল মায়ের
Georgia: মিরর রিপোর্ট অনুসারে, জর্জিয়ার সাতাশ বছর বয়সী রায়ান সারহাল ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে যমজ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তবে দুটি শিশু এতটাই দুর্বল ছিল যে কেউ তাদের কোলে তুলতে পারত না। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে জানা গিয়েছে, শিশুরা অস্টিওজেনেসিস ইমপারফেক্টা নামক একটি বিরল রোগে ভুগছিল। এই কারণে, হাড়গুলি এতটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছিল।
বিরল রোগে আক্রান্ত যমজ শিশু। জানা গিয়েছে, একজন প্রসূতি মহিলা দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। তবে চিকিৎসকরা তাঁকে জানান, সদ্যোজাতদের হাড় অত্যধিক নরম। এতটাই পাতলা হাড় তিনি তাঁদের কোলেও নিতে পারবেন না। বাচ্চা দু’টি এতটাই দুর্বল যে হাঁচি দিলেও ভেঙে যেতে পারে হাড়।
মিরর রিপোর্ট অনুসারে, জর্জিয়ার সাতাশ বছর বয়সী রায়ান সারহাল ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে যমজ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তবে দুটি শিশু এতটাই দুর্বল ছিল যে কেউ তাদের কোলে তুলতে পারত না। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে জানা গিয়েছে, শিশুরা অস্টিওজেনেসিস ইমপারফেক্টা নামক একটি বিরল রোগে ভুগছিল। এই কারণে, হাড়গুলি এতটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছিল।
এমনকী, চিকিৎসকরাও রায়ানকে বলেছিলেন, মেয়েদের অবস্থা খুবই গুরুতর। তাদের বাঁচানো সম্ভব হবে না। এরপর দীর্ঘ চার মাস হাসপাতালে ভর্তি ছিল শিশু দুটি। দীর্ঘ চিকিৎসার পর তাদের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু রায়ান তখনও তাদের কোলে নিতে পারেনি। ওই মহিলা জানান,ঘটনার সময়ে তার মেয়েদের অসংখ্য হাড় ভেঙে গিয়েছে। এমনকী হাঁচি-কাশি হলেও তাদের নরম হাড় ভেঙে যেত।
কিন্তু রায়ান হাল ছাড়েননি। মেয়েদের চিকিৎসা করাতে থাকেন। মহিলা জানিয়েন,এখন তাদের শারীরিক অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। তাদের কোলে নিতে পারেন। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, মেয়েরা পুরোপুরি সেরে উঠতে পারছেন না। এই সমস্যা সারাজীবন তাদের সঙ্গেই থেকে যাবে।
রায়ান আরও জানান, গর্ভাবস্থার কুড়িতম সপ্তাহে চিকিৎসকেরা লক্ষ্য দেখেন, শিশুদের পা ও হাত বাঁকানো অবস্থায় ছিল। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা মনে করেছিলেন এটি কোনও বড় রোগ নয়। কিন্তু মরিয়ম ও মিয়ার জন্মের পর তাদের অবস্থা দেখে চিকিৎসকরাও হতবাক হয়ে যান।