UK Poll 2024: ঋষির বিদায় নিশ্চিত, ব্রিটেনের মসনদে আসছে লেবার, ভারতের জন্য দুঃসংবাদ?

UK Poll 2024: ব্রিটেনের নির্বাচনের বুথ ফেরত সমীক্ষায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনকের বিদায়ের ইঙ্গিত। ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন, বামপন্থী 'লেবার পার্টি'র নেতা কিয়ার স্টারমার। এটা ভারতের জন্য কি দুঃসংবাদ? কতটা প্রভাবিত হবে ভারত-ব্রিটেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক?

UK Poll 2024: ঋষির বিদায় নিশ্চিত, ব্রিটেনের মসনদে আসছে লেবার, ভারতের জন্য দুঃসংবাদ?
কিয়ার স্টারমার এবং ঋষি সুনকImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Jul 05, 2024 | 6:55 AM

লন্ডন: ইউরোপ জুড়ে ডানপন্থী শক্তিগুলির উত্থান ঘটছে। শুধু ইউরোপ কেন, গোটা পৃথিবীই বর্তমানে বেশ কিছুটা ডান-মুখী। এরই মধ্যে ব্রিটেনের মসনদ থেকে ১৪ বছর পর সরতে চলেছে ডানপন্থী কনজারভেটিভ পার্টি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনকের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়া উদযাপন করেছিলেন ভারতীয়রা। তবে, তাঁর নেতৃত্বে এবারের ভোটে কনজারভেটিভদের ‘ঐতিহাসিক পরাজয়’ হতে চলেছে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষায়। বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল যে সবসময় মেলে না, তা সদ্য সমাপ্ত ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে। তবে কখনও কখনও তা মিলেও যায়। ব্রিটেনের নির্বাচনের বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন, বামপন্থী ‘লেবার পার্টি’র নেতা কিয়ার স্টারমার।

বৃহস্পতিবার, ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর, এক্সিট পোলগুলি জানিয়েছে, ৬৫০ আসনের ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ৪১০টি আসন জিততে চলেছে লেবার। অন্যদিকে, সুনকের কনজারভেটিভ পার্টি আটকে যেতে পারে মাত্র ১৩১টি আসনে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ব্রিটেনের গত ছয়টি নির্বাচনে, শুধুমাত্র একবারই ভুল করেছিল এক্সিট পোল। ২০১৫ সালে পূর্বাভাস এসেছিল, ত্রিশঙ্কু হতে পারে ভোটের ফল। অর্থাৎ কেউই স্পষ্ট বহুমত পাবে না। কিন্তু, কনজারভেটিভরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। তবে, তারপর থেকে ব্রিটেনের মসনদে বসেছেন পাঁচজন ভিন্ন ভিন্ন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার ভোর থেকে (ভারতীয় সময়) ভোট গণনা চলছে। গণনার শুরুর প্রবণতাও বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল মিলে যাওয়ার ইঙ্গিতই দিয়েছে। তিন ঘণ্টার গণনার পর, সুনকের দল প্রথম জয় পেয়েছে। যেখানে লেবার পার্টির ঝুলিতে ইতিমধ্যেই ১২টি আসন চলে এসেছে।

জনমত সমীক্ষায় অনেক পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও, গত মে মাসে, প্রয়োজনের থেকে অনেক আগে ভোট ঘোষণা করে দিয়েছিলেন ঋষি সুনক। যা তাঁর প্রতিপক্ষকে তো বটেই, নিজের দলকেও চমকে দিয়েছিল। তিনি আশা করেছিলেন, এর মধ্যে লেবারদের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে ফেলবেন। কিন্তু, তাঁর প্রচার সেভাবে মাথা তুলতে পারেনি। নেবার নেতা কিয়ার স্টারমারকে ক্ষমতায় আনার জন্য যে জনগণের মধ্যে ব্যাপক উত্সাহ রয়েছে, তা নয়। তবে, তিনি যে পরিবর্তনের সরল বার্তা দিয়েছেন, তা ভোটারদের মধ্যে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। যাইহোক, প্রশ্নটা হচ্ছে, সুনক বিদায় নিলে তা কি ভারতের জন্য দুঃসংবাদ না সুসংবাদ? ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের কি ক্ষতি হতে পারে?

এর আগে, জেরেমি করবিনের অধীনে, লেবার পার্টি অনেকটাই নয়া দিল্লি বিরোধী অবস্থান নিয়েছিল। ভারত ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর, কাশ্মীরের উপর একটি জরুরি প্রস্তাব পাশ করেছিল লেবার পার্টি। বলা হয়েছিল “কাশ্মীরে বড় মাপের মানবিক সংকট চলছে।” আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সেখানে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল। পরে অবশ্য ব্রিটিশ ভারতীয় সম্প্রদায়ের দিক থেকে বড় প্রতিক্রিয়া আসায় কাশ্মীর সমস্যা, ভারত ও পাকিস্তানের “দ্বিপাক্ষিক বিষয়” বলে সামাল দিয়েছিলেন করবিন। অনেকেই মনে করেন, ২০১৯-এ লেবার পার্টির হারের পিছনে কাশ্মীর নিয়ে অবস্থান বড় কারণ ছিল। তবে, কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বে লেবারদের অবস্থান অনেকটাই বদলে গিয়েছে। স্টারমার নিজেই ঘোষণা করেছেন, ভারত এবং ব্রিটিশ ভারতীয় সম্প্রদায়ের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চায় লেবার পার্টি। কাজেই, সুনকের বিদায়ে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কে খুব একটা প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন না আত্নর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।