Air Strike: বিমান হানায় খতম আল কায়দা নেতা! দাবি আমেরিকার

Air Strike, America, আল কায়দা ক্রমশই আমেরিকা ও আমাদের মিত্র শক্তিদের কাছে বিপজ্জনক হয়ে উঠছিল। জঙ্গি সংগঠন পুনর্গঠন, বহিরাগত সহযোগীদের সাথে সমন্বয় রক্ষা এবং বিভিন্ন জঙ্গি আক্রমণের পরিকল্পনা করার ক্ষেত্রে সিরিয়াকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করছিল

Air Strike: বিমান হানায় খতম আল কায়দা নেতা! দাবি আমেরিকার
আল কায়দা জঙ্গিদের ওপর আঘাত হানার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। ছবি- প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Oct 23, 2021 | 1:45 PM

ওয়াশিংটন: শুক্রবার, সিরিয়াতে (Syria) আল কায়দার (al-Qaeda) এক শীর্ষনেতা মার্কিন বিমান হানায় প্রাণ হারিয়েছেন, এমনটাই দাবি আমেরিকার (America) প্রতিরক্ষা সংস্থা পেন্টাগনের (Pentagon)। দক্ষিণ সিরিয়ায়, ইসলামিক স্টেট (Islamic State) জঙ্গি গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে আমেরিকা নেতৃত্বধীন সশস্ত্র বাহিনীর হামলার ঠিক পরেই আল কায়দাল নেতার ওপর বিমান হানার ঘটনাটি সামনে এসেছে।

মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কম্যান্ডের মুখপাত্র মেজর জন রিগসবি (Major John Rigsbee) এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন “উত্তর পূর্ব সিরিয়ায় মার্কিন বিমান বাহিনীর হানায় আল কায়দা শীর্ষ নেতা আব্দুল হামিদ অল মাতার (Abdul Hamid al-Matar) মারা গিয়েছেন।” এই বিমান হানায় এখনও অবধি অন্য কারোর মারা যাওয়ার খবর জানা যায়নি বলেই জানান মেজর জন। জানা গিয়েছে, শীর্ষ আল কায়দা নেতাকে নিকেষ করার জন্য এমকিউ ৯ যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করা হয়েছিল। বিবৃতিতে জন রিগসবি বলেছেন “আল কায়দা জঙ্গি গোষ্ঠীর এই বরিষ্ঠ নেতার মৃত্যুর ফলে এই জঙ্গি সংগঠন বিশ্ব ব্যাপী সন্ত্রাস সৃষ্টি ও জঙ্গি হানার সফল বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমস্যার মুখোমুখি হবে।”

সিরিয়ার এই প্রদেশে মার্কিন হানা এই প্রথম নয়। এর আগেও আইসিস জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতা আবু বকর আল বাগদাদী (Abu Bakr al-Baghdadi) যখন পূর্ব সিরিয়া থেকে পালিয়ে এই ইদলিবে লুকিয়ে ছিলেন, সেই সময় ও অনেকটা একই কায়দায় এয়ার স্ট্রাইক করে বাগদাদিকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী। চলতি বছরেই সেপ্টেম্বর মাসের শেষে পেন্টাগণ অপর এক আল কায়দা শীর্ষ নেতা সালিম আবু আহমদকে (Salim Abu Ahmad) একই কায়দায় হত্যা করে। উত্তর পূর্ব সিরিয়ার ইদলিবে (Idlib) ওই বিমান হানা চালিয়েছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনী। সেন্টকম (Centcom) জানিয়েছিল নিহত সালিম, বিভিন্ন অঞ্চলে আল কায়দা হামলার পরিকল্পনা, অর্থের জোগান এবং অনুমোদনের পিছনে প্রধান মাথা ছিল।

মেজর জন রিগসবি জানিয়েছেন, ” আল কায়দা ক্রমশই আমেরিকা ও আমাদের মিত্র শক্তিদের কাছে বিপজ্জনক হয়ে উঠছিল। জঙ্গি সংগঠন পুনর্গঠন, বহিরাগত সহযোগীদের সাথে সমন্বয় রক্ষা এবং বিভিন্ন জঙ্গি আক্রমণের পরিকল্পনা করার ক্ষেত্রে সিরিয়াকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করছিল।”

মার্কিন বাহিনী কর্তৃক সালিম আবু আহমদকে খতম করার পরেই আবারও বিমান হানার মাধ্যমে আল কায়দা জঙ্গিদের ওপর আঘাত হানার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। সংবাদ সংস্থা এএফপি (AFP) সূত্রে জানা গিয়েছিল, শাসন ক্ষমতা তালিবানের (Taliban) হাতে যাওয়ার পরেই আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে আমেরিকা। সেনা প্রত্যাহারের পর জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়দা পুনরায় মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে, এমন সম্ভবনা ক্রমেই মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছিল। তাই আল কায়দার যাবতীয় কার্যকলাপে দাঁড়ি টানতে পুনরায় বিমান হামলার পথেই হাঁটল পেন্টাগন।

আরও পড়ুন Pakistan Clash: আন্দোলনকারীদের উপর ২৫০০ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ল পুলিশ, মুহূর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত লাহোর, মৃত ৪