China Spy Balloon: সমুদ্রে নামল দক্ষ ডুবুরি, তন্ন তন্ন করে চলছে বেলুনের টুকরোর খোঁজ, কী এমন ছিল ওই চিনা বেলুনে?
China Spy Balloon: বেলুনটিকে আকাশ থেকে নামানোর পরই তাঁর অবশিষ্টাংশের খোঁজে সমুদ্রে তল্লাশি শুরু হয়েছে। আমেরিকার আশঙ্কা, এই বেলুনটিকে বিভিন্ন মার্কিন গোপন ঘাঁটির উপর দিয়ে উড়িয়েছে চিন এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় তথ্য সংগ্রহ করেছে।
ওয়াশিংটন: চাপা উত্তেজনার অবসান। গুলি করে নামানো হয়েছে চিনা নজরদারি বেলুন (China Spy Balloon)। তবুও স্বস্তিতে নেই আমেরিকা। এবার সেই বেলুনের অবশিষ্টাংশ খুঁজতেই ডুবুরি নামাল আমেরিকা (USA)। বিগত এক সপ্তাহ ধরে আমেরিকার আকাশে চিনের রহস্যজনক বেলুন নিয়ে উত্তেজনা ছড়ানোর পর অবশেষে শনিবার দুপুরে মিসাইল (Missile) ছুড়ে নামানো হয় ওই চিনা বেলুন। দক্ষিণ ক্যারোলিনার উপকূলবর্তী আটলান্টিক সাগরে (Atlantic Ocean) ওই বেলুনের অবশিষ্টাংশ পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। বেলুনটিকে গুলি করে নামানোর পরই পেন্টাগনের তরফে নতুন ‘মিশন’ শুরু করা হয়েছে। সাগরে ভেসে থাকা বেলুনের যাবতীয় অবশিষ্টাংশ কুড়িয়ে আনার জন্য বিপুল সংখ্যক দক্ষ ডুবুরি নামানো হয়েছে।
পেন্টাগনের তরফে শনিবার রাতেই জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশ মতো মার্কিন সেনা দুপুর ২টো ৩৯ মিনিট নীগাদ চিনা স্পাই বেলুনকে মিসাইল ছুড়ে নামানো হয়েছে। দক্ষিণ ক্যারোলিনা থেকে ৬ মাইল দূরে, বেলুনটি আটলান্টিক সাগরে পড়েছে। এই বেলুনের কারণে কোনও সাধারণ মানুষের প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। জানা গিয়েছে, ভার্জিনিয়ার ল্যাঙ্গলে এয়ার ফোর্স বেস থেকে একটি যুদ্ধবিমান থেকেই মিসাইল ছোড়া হয়। এরপরই মার্কিন জলসীমার মধ্যেই আটলান্টিক সাগরে পড়ে বেলুনটি।
পেন্টাগনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বেলুনটিকে আকাশ থেকে নামানোর পরই তাঁর অবশিষ্টাংশের খোঁজে সমুদ্রে তল্লাশি শুরু হয়েছে। আমেরিকার আশঙ্কা, এই বেলুনটিকে বিভিন্ন মার্কিন গোপন ঘাঁটির উপর দিয়ে উড়িয়েছে চিন এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় তথ্য সংগ্রহ করেছে। ওই গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় তথ্য যাতে চিনের হাতে না যায়, তার জন্যই তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
বেলুনটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য না জানালেও, পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছে, তারা বেলুনটি ও তার ভিতরে থাকা যন্ত্রপাতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্য়েই একাধিক ভেসেল ও ডুবুরি পাঠানো হয়েছে সমুদ্রে। মানবশূন্য় ভেসেল, যা কোনও ভারী বস্তু উদ্ধার করে আনতে সক্ষম, তাও পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনার উপরে নজরদারি চালাচ্ছে মার্কিন গোয়েন্দা বাহিনী এফবিআই।