এবার মাথাচাড়া দিচ্ছে ওয়েস্ট নাইল জ্বর, কীভাবে বুঝবেন? কোন পথে মিলবে রেহাই?

রাশিয়ায় শুরু হয়েছে এই জ্বর। সতর্ক করা হয়েছে যে, চলতি বছরে সংক্রমণ বাড়তে পারে।

এবার মাথাচাড়া দিচ্ছে ওয়েস্ট নাইল জ্বর, কীভাবে বুঝবেন? কোন পথে মিলবে রেহাই?
প্রতীকি ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 31, 2021 | 12:05 PM

মস্কো: আপাতত কয়েকজনের শরীরে ধরা পড়েছে সেই সংক্রমণ, তবে ক্রমে সংখ্যাটা যে বেড়ে যাবে, সে বিষয়ে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকেরা। এ বছর যেমন আবহাওয়া, তাতে নাকি এই রোগের ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বাড়বে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। রাশিয়া জুড়ে তেমনই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে, কারণ সেখানেই বেশ কয়েকজন রোগী এই ওয়েস্ট নাইল সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। মূলত মশাবাহিত রোগ এটি।

রাশিয়ার চিকিৎসক মহল সতর্ক করে বলেছে যে এবারের আবহাওয়ায় এই রোগের সম্ভাবনা খুবই বেশি। সাধারণত এটি মারণ আকার ধারন না করলেও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে অনেককেই।

কী এই ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস?

মূলত আমেরিকা ও পাশ্ববর্তী অঞ্চলে এই রোগের প্রভাব দেখা গিয়েছে আগে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তরফে জানানো হয়েছে যে, সাধারণত এটি মশাবাহিত ভাইরাস। অর্থাৎ মশার কামড়েই মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়ে এটি। প্রথম আফ্রিকায় দেখা গিয়েছিল এই ভাইরাসের প্রকোপ। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপে। এশিয়া, নর্থ আমেরিকাতেও ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে এটি। মৃত্যু না হলেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অনেকের নার্ভ আক্রান্ত হয়। অনেক ক্ষেত্রেই সংক্রমণের মাত্রা বেশি হলেও কোনও উপসর্গ দেখা যায় না।

কী ভাবে বাঁচবেন এই রোগ থেকে?

সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, মূলত যে সময় মশার প্রকোপ বেশি থাকে, সেই সময় এই সংক্রমণও বাড়ে। মূলত গরমকালে শুরু হয় এই ভাইরাসের সংক্রমণ। ১৫০ জন আক্রান্ত হলে তাদের মধ্যে একজনের কঠিন উপসর্গ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেক সময় তা মারাত্মকও হতে পারে। তাই মশা থেকে বাঁচতে যা যা করণীয়, তা করলেই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। চেষ্টা করতে হবে মশা থেকে দূরে থাকার। মশা থেকে বাঁচতে শরীর ঢেকে রাখতে হবে, প্রয়োজনে রিপেলেন্ট ক্রিম লাগাতে হবে।

কী উপসর্গ দেখা যায়?

সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১০ জনের মধ্যে ৮ জন অর্থাৎ ৮০ শতাংশ আক্রান্তের শরীরে কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। পাঁচ জনের মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে উপসর্গ হিসেবে দেখা যায় জ্বর। কারও কারও ক্ষেত্রে দেখা যায় মাথা ব্যাথা, গায়ে ব্যাথা, গাঁটে ব্যাথা, বমি, ডায়েরিয়া ও র‍্যাশ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই রোগ থেকে সম্পূর্ণ সেরে ওঠা সম্ভব।

তবে যাদের ক্ষেত্রে সংক্রমণ বেশি হয়, তাদের এনসেফালাইটিস বা মেনিনজাইটিস হতে পারে, যাতে নার্ভ বিকল হয়ে যেতে পারে। উপসর্গ বাড়লে ঘাড় শক্ত হয়ে যেতে পারে, মাংসপেশী দুর্বল হয়ে যেতে পারে। প্যারালিসিসেও আক্রান্ত হতে পারেন কেউ কেউ, কোমায় চলে যেতেও দেখা যায় অনেককে।

কী চিকিৎসা?

এই বিশেষ ভাইরাসের কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি নেই। সাধারণত উপসর্গ দেখেই চিকিৎসা করা হয়। অনেক ক্ষেতএর ব্যাথার ওষুধ দিতে হয়। আরও পড়ুন: প্রবল বেগে দেওয়ালে ধাক্কা, দুমড়ে মুচড়ে গেল Audi, বিধায়কের ছেলে সহ মৃত ৭