Monkeypox: ‘মাঙ্কিপক্স গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি’! সর্বোচ্চ বিপদবার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

Monkeypox Global Health Emergency: শনিবার (২৩ জুলাই) মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবকে 'গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি', অর্থাৎ, 'বৈশ্বিক স্বাস্থ্যগত জরুরী অবস্থা' হিসেবে ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা 'হু'।

Monkeypox: 'মাঙ্কিপক্স গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি'! সর্বোচ্চ বিপদবার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবকে 'গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি' বলে ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
Follow Us:
| Updated on: Jul 23, 2022 | 9:22 PM

জেনেভা: শনিবার (২৩ জুলাই) মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবকে ‘গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি’, অর্থাৎ, ‘বৈশ্বিক স্বাস্থ্যগত জরুরী অবস্থা’ হিসেবে ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’। প্রসঙ্গত, যখন কোনও রোগ চরম অবস্থায় পৌঁছয়, তখন সর্বোচ্চ বিপদবার্তা হিসেবে ‘গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি’ ঘোষণা করে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। এর থেকে বড় কোনও বিপদবার্তা দেওয়ার ব্যবস্থা তাদের নেই। বোঝাই যাচ্ছে, কোভিড-১৯’এর পর মাঙ্কিপক্স পরিস্থিতিও অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবারই, বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্স পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাঙ্কিপক্স বিশেষজ্ঞরা। এর একদিন পরই এই ঘোষণা করা হল।

ডা. ঘেব্রেইসাস জানিয়েছেন, বিশ্বের ৭৫টি দেশ থেকে ১৬,০০০-এরও বেশি মাঙ্কিপক্স ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘সংক্ষেপে বলতে গেলে, আমাদের সামন একটি প্রাদুর্ভাব রয়েছে যা সংক্রমণের নতুন ধরনের মাধ্যমে দ্রুত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। এই সম্পর্কে এখনও আমরা খুব কমই বুঝতে পেরেছি।’ তবে সূত্রের খবর, এর আগের মাসে মাঙ্কিপক্স পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে হু-এর মাঙ্কিপক্স বিশেষজ্ঞরা এই রোগকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করতে চাননি। শনিবারও এই বিষয়ে তাঁরা দ্বিধাবিভক্ত ছিলেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর-জেনারেল তেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইসাসকে তাঁরা জানান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তাঁকেই নিতে হবে।

সাধারণত বিশেষজ্ঞ কমিটির সিদ্ধান্তেই সম্মতি জানাতে হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানকে। কিন্তু, এই ক্ষেত্রে সেই প্রোটোকল ভেঙে ঘেব্রেইসাস নিজেই মাঙ্কিপক্স রোগকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এরপরই এদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাব এখন ৭৫টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি এখন এটি একটি ‘বৈশ্বিক স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থায়’ পরিণত হয়েছে। হু-এর পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, আরও বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাসঘটিত রোগ। প্রতিরোধের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়ার প্রয়োজন। তবে হু-এর এই আহ্বানে কতটা কাজ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আসলে, রাষ্ট্রগুলিকে কোনও স্বাস্থ্যবিধিগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করার মতো কোনও ক্ষমতা নেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।

শেষবার হু এই ধরনের বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যহত জরুরি অবস্থা জারি করেছিল, ২০২০ সালের গোড়ার দিকে। সেই বিপদ বার্তা ছিল কোভিড-১৯’এর জন্য। হু-এর সেই ঘোষণার পরপরই ভাইরাসটির দাপটে গোটা বিশ্বে বিপর্যয় নেমে এসেছিল। কয়েক মাসের জন্য সমগ্র পৃথিবী থমকে গিয়েছিল। বর্তমানে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের শক্তিও ধীরে ধীরে বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত রোগের মূল কেন্দ্র ইউরোপই। বিশ্বের ৮০ শতাংশ মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের ঘটনা এই মহাদেশেই ঘটেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। এমনকি, মার্কিন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা শিশুদের মধ্যেও মাঙ্কিপক্সের দুটি ঘটনা শনাক্ত করেছেন। ভারতেও এখন এই নয়া সংক্রমণের ৩টি ঘটনা ধরা পড়েছে। বস্তুত, গত কয়েক দশক ধরেই মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার বেশ কিছু দেশে মাঙ্কিপক্স অত্যন্ত পরিচিত রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু, এই মহাদেশের বাইরে এর আগে এই রোগকে বড় আকারের ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়নি।