Liz Truss: ভুল নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নাকি দলের অত্য়াধিক প্রত্যাশা? কোন ভুলে মাত্র ৪৫ দিনেই প্রধানমন্ত্রীর গদি খোয়ালেন লিজ?
Why Liz Truss resigned: লিজের এই ইস্তফার মাশুল গুনতে হচ্ছে শাসক দল কনজারভেটিভ পার্টিকে। সাড়ে ১২ বছর পর প্রতিপক্ষ লেবার পার্টির থেকে ৩০ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েছে কনজারভেটিভ পার্টি।
লন্ডন: বাকি প্রার্থীদের হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, কিন্তু বেশিদিন থাকা হল না সেই পদে। গদির মেয়াদ মাত্র ৪৪ দিন। মিনি বাজেট নিয়ে বিতর্ক- সমালোচনার শিকার হতেই বাধ্য হয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন লিজ ট্রাস। প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পরই তিনি জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবে।
করোনাকালে বিশ্বের বাকি দেশের অর্থনীতির মতোই ধাক্কা খেয়েছিল ব্রিটেনের অর্থনীতিও। তবে সেই ধাক্কা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি সেভাবে। একের পর এক দুর্নীতি, বিতর্কের অভিযোগ উঠতেই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বরিস জনসন। এরপরই গত সেপ্টেম্বর মাসে হয় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত তথা ব্রিটেনের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনককে হারিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন লিজ ট্রাস।
প্রধানমন্ত্রীর পদে দায়িত্ব গ্রহণের পরই লিজ ট্রাসের সামনে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের অর্থনীতির হাল ফেরানো। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে করের বোঝা কমানোর কথা বললেও, মিনি বাজেট প্রকাশ পেতেই মূল্যবৃদ্ধির হার কমার বদলে আরও বেড়ে যায়। ব্রিটেনের অর্থনীতির উন্নতির লক্ষ্যেই এই বাজেট বলে লিজ ট্রাস দাবি করলেও, পাশে দাঁড়ায়নি তাঁর নিজের দল কনজারভেটিভ পার্টিই। দলের অন্দরেই তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা শুরু করা হয়। বাধ্য হয়েই মাত্র ৪৫ দিনেই গদি ছাড়লেন লিজ ট্রাস।
লিজের এই ইস্তফার মাশুল গুনতে হচ্ছে শাসক দল কনজারভেটিভ পার্টিকে। সাড়ে ১২ বছর পর প্রতিপক্ষ লেবার পার্টির থেকে ৩০ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর পদে পরবর্তী মুখ কে হবেন, তা নিয়েও ইতিমধ্য়েই ভাবনাচিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে। গতকালই ইস্তফা দেওয়ার পর লিজ ট্রাস জানান, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হবে।
লিজ ট্রাস ইস্তফা দিতেই প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে ফের একবার উঠে এসেছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনকের নাম। তাঁর জেতার সম্ভাবনাও রয়েছে অনেকটাই, কারণ লিজের পরে দ্বিতীয় পছন্দ ছিলেল সুনকই। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনে সামিল হতে পারেন পেনি মরড্যান্ট, কেমি বাডেনচ ও টম টুগেনডাট। সুয়েল্লা ব্রেভারম্যান, যাকে গত ১৯ অক্টোবরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদ থেকে সরানো হয়েছিল, তিনিও প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে সামিল হতে পারেন।