Farmers: রাত ৯টা বাজলেই জমিতে যাচ্ছেন কৃষকরা, ধান চাষে হঠাৎ কেন এমন অভিনব উপায়?
Farmers: রাত ৯টা থেকে শুরু হচ্ছে কাজ, চলছে ভোর ৫টা পর্যন্ত। অর্থাৎ অন্ধকার নামলে মাঠে যাচ্ছেন কৃষকরা। আবার সূর্যের আলো ফুটলেই চলে যাচ্ছেন বাড়ি।
বাংলাদেশ: শুধুমাত্র কলকাতায় নয়, দক্ষিণ এশিয়ার একটা বড় অংশ জুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ। রেহাই পাচ্ছে না প্রতিবেশী বাংলাদেশও। ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের জনজীবনে। আর এই দাবদাহের ফলে বেশ বিপাকে পড়েছেন সে দেশের ধানচাষিরা। বাংলাদেশে এই সময়টাকে মূলত ধান কাটার মরসুম বলে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু এত গরমে ধান কাটাও তো বিপদ!
অতিরিক্ত গরমে দিনের বেলা হিটস্ট্রোকের প্রবণতা বাড়ছে। ফলে ভয়ে মাঠে নামতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে পাকা ধান কাটতেও পারছেন না। এর ফলে ধানের উৎপাদনে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটবে বলে মনে করছে বাংলাদেশের কৃষিবিভাগ। তাই বাধ্য হয়ে ধান কাটার সময় হিসেবে দিনের বদলে রাতকেই বেছে নিয়েছেন অনেকে।
সূর্যের তাপ থেকে বাঁচতে রাতের বেলা চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন কৃষকরা। রাত ৯টা থেকে শুরু হচ্ছে কাজ, চলছে ভোর ৫টা পর্যন্ত। অর্থাৎ অন্ধকার নামলে মাঠে যাচ্ছেন কৃষকরা। আবার সূর্যের আলো ফুটলেই চলে যাচ্ছেন বাড়ি। এর ফলে অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছেন তাঁরা।
বাংলাদেশের এক কৃষক জানিয়েছেন, সব সময় দিনের বেলাতেই ধান কাটা হয়, এ বছর প্রচণ্ড গরমের জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এই নিয়ে আমরা বেশ বিপাকে পড়েছি। পরে কেউ কেউ রাতের বেলা ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি আরও জানান ইতিমধ্যে রাতের বেলা ৪০ শতাংশ জমির ধান কাটার কাজ শেষ করা হয়েছে।
রাতের বেলা ধান কাটার বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি অধিদফতরের এক কর্তা জানান, বর্তমানে জেলায় জেলায় রাতে ধান কাটা হচ্ছে। এতে হিটস্ট্রোক এড়ানো সম্ভব হচ্ছে। গত প্রায় ১০ দিন ধরেই প্রবল গরমে পুড়ছে বাংলাদেশ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। বাংলাদেশের যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪২. ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বাংলাদেশে হিট অ্যালার্টও জারি করা হয়েছে। একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। আগামী ২৮ এপ্রিল খুলবে সেগুলি।