বাইডেনকে শুভেচ্ছা চিনের! ২ সপ্তাহ পর টেলিগ্রামে অভিনন্দন জানালেন জিনপিং

মার্কিন নির্বাচনের প্রাথমিক ফলে জিতেছিলেন জো বাইডেন (Joe Biden)। কিন্তু ভোটে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে পরাজয় মেনে নিতে চাননি ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বাইডেনকে শুভেচ্ছা চিনের! ২ সপ্তাহ পর টেলিগ্রামে অভিনন্দন জানালেন জিনপিং
জো বাইডেন
Follow Us:
| Updated on: Nov 27, 2020 | 8:11 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: মার্কিন নির্বাচনের প্রাথমিক ফলে জিতেছিলেন জো বাইডেন (Joe Biden)। কিন্তু ভোটে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে পরাজয় মেনে নিতে চাননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। একাধিক মামলা দায়ের করেছিলেন আদালতে। অধিকাংশ মামলাই আদালতে মুখ থুবড়ে পড়েছে। সেনেটরদের চাপে পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন ট্রাম্প। শুরু হয়েছে বাইডেনের (Joe Biden) হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও। এত কিছুর পরে বাইডেনের (Joe Biden)শুভেচ্ছা বার্তা এল চিন থেকে।

নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য এবার বাইডেনকে (Joe Biden) শুভেচ্ছা জানালেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi jinping)। প্রথম দিন থেকেই ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হবু মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। কিন্তু অন্যতম বাণিজ্য প্রতিদ্বন্দ্বী চিনের প্রেসিডেন্ট প্রায় ২ সপ্তাহ পর টেলিগ্রামে লিখলেন ‘বিবাদে না গিয়ে’ উভয় দেশকে সম্মান জানানোর বার্তা।

মার্কিন নির্বাচনের পরেই চিন সাফ জানিয়ে দিয়েছিল আদালতের রায় এলে তবেই তারা মন্তব্য করবে। সেই মতো বার্তা এল জিনপিংয়ের কাছ থেকে। ট্রাম্পের আমলে তলানিতে ঠেকেছিল চিন ও আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক। বিভিন্ন ইস্যুতে বারবার চিনকে বিঁধেছে হোয়াইট হাউস। করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে সেই বিবাদ সংঘাতের আকার নেয়। করোনা ছড়ানোর দায় সরাসরি চিনের উপর চাপিয়ে ছিল আমেরিকা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে একাধিক বার করোনাকে ‘চিনা ভাইরাস’ বলে কটাক্ষ করেছেন চিনকে। শুধু ট্রাম্প নন স্টেট সেক্রেটারি মাইক পম্পেও থেকে শুরু করে হোয়াইট হাউসের একাধিক আধিকারিক একহাত নিয়েছেন চিনকে। এমনকি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরও ৭০ পাতার রিপোর্টে হোয়াইট হাউস থেকে এসেছিল শুধুই চিন বিরোধিতা।

আরও পড়ুন: হাফ ডোজ়েই অল্পবয়সীদের উপর কাজ করছে ৯০ শতাংশ! ‘ম্যাজিক’ দেখালেও জটিলতা কাটছে না অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের

চিনের আগ্রাসী মনোভাবের জন্য একাধিক বার চিনের কমিউনিস্ট পার্টিকে সরাসরি নিশানা করেছে আমেরিকা। কোয়াড গড়ে আগ্রাসী যে কোনও দেশের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে আসলে চিনকেই বার্তা দিতে চেয়েছে আমেরিকা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চিন ঘেঁষা, এই অভিযোগ করে অনুদানও বন্ধ করেছিলেন ট্রাম্প। সব মিলিয়ে ট্রাম্পের ৪ বছর, চিন বিরোধিতার ৪ বছর বললে ভুল হয় না। তবুও নির্বাচনে চিনের ফার্স্ট চয়েস ছিল ট্রাম্প, এমন মত বহু বিশেষজ্ঞের। কারণ বাইডেন এলে বাণিজ্য সংঘাতে মন্দা আসলেও মানবাধিকার নিয়ে অধিক সক্রিয় হবে আমেরিকা। অর্থাৎ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে চিন বিরোধিতা থেকেই যাচ্ছে।