SCO Summit: লাদাখে হাতাহাতির পর প্রথমবার মুখোমুখি মোদী-জিনপিং, সম্মেলন আয়োজনে ভারতকে সাহায্যের ঘোষণা চিনের
Xi Jinping: উজবেকিস্তানের ঐতিহাসিক শহর সমরখন্দে শুক্রবার মুখোমুখি হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী ও শি জিংপিং।
সরমখন্দ: সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনের আয়োজন আগামী বছর করবে ভারত। সেই সম্মেলন আয়োজনে ভারতে সাহায্যের কথা জানাল চিন। উজবেকিস্তানে এসসিও সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। উজবেকিস্তানের ঐতিহাসিক শহর সমরখন্দে শুক্রবার মুখোমুখি হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী ও শি জিনপিং। ২০২০ সালে লাদাখে দু’দেশের সেনার হাতাহাতির পর এই প্রথম মুখোমুখি হলেন দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। ২০২৩ সালে এসসিও সম্মেলন হবে ভারতে। সেই সম্মেলনে ইরানকে পূর্ণ সদস্য করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।
উজবেকিস্তানে মোদী এবং জিনপিংয়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার জল্পনা ছড়িয়েছে। যদিও সরকারের তরফে বৈঠকের সম্ভাবনা খারিজও করা হয়নি, আবার তা নিশ্চিতও করেনি। চিনের তরফেও এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। এ বিষয়ে বিদেশ সচিব বিনয় কাত্রা বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সূচি চূড়ান্ত হলে আমি আপনাদের জানিয়ে দেব।” চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। সেই বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য, দু’দেশের মধ্যে খাদ্য সরবরাহ, সার বিক্রির বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে। পুতিনের পাশাপাশি উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শভকত মিরজিওয়েভ এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির সঙ্গে কথা বলবেন।
সমরখন্দে এসিসিও সম্মেলনে যোগ দিতে সবার শেষে পৌঁছন মোদী। যদিও সেখানে পৌঁছে পুতিন, জিংপিং-সহ অন্য রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে দলবদ্ধ ভাবে তোলা ছবি শেয়ার করেন টুইটারে। সেই সম্মেলনে যোগ দিয়ে কোভিড এবং ইউক্রেন যুদ্ধপরবর্তী সমস্যা কাটিয়ে ওঠার বার্তা দেন। পাশাপাশি ভারতকে ম্যানুফ্য়াকচারিং হাব বানানোর কথা বলেছেন।
২০০১ সালে সাংহাইয়ে প্রথম বার এসসিও সম্মেলন হয়েছিল। তখন সেই গ্রুপের সদস্য ছিল চিন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরজিঘস্থান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান। ২০১৭ সালে এখানে যোগ দেয় ভারত ও পাকিস্তান। এখন এসসিও-তে পূর্ণ সদস্যের সংখ্যা ৮।