Worldwide Layoffs: ২০২৪ কী ছাঁটাইয়ের বছর? গত কয়েক মাসে ২০০০ সংস্থায় কাজহারা ৫০ হাজার
Worldwide Layoffs: জার্মান মাল্টিন্যাশনাল সফটওয়্যার কোম্পানি স্যাপ, আমেরিকান জায়েন্ট সিসকো, সবাই আছে এই তালিকায়। গত কয়েক সপ্তাহে গুগলের মাদার সংস্থা অ্যালফাবেট থেকেও বাদ পড়েছেন বহু কর্মী।
কলকাতা: চব্বিশ কী শুধুই ছাঁটাইয়ের বছর? বিশ্বজোড়া পরিসংখ্যান দেখে চোখ কপালে তুলছেন চাকুরিজীবীরা। সূত্রের খবর, গতমাসে দুনিয়ার ৭৫ সংস্থায় ছাঁটাইয়ের কবলে পড়েছেন ১৫ হাজার কর্মী। সবথেকে বেশি চিন্তা বাড়াচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্র। নতুন বছরে প্রথম দু’মাসের পরিসংখ্যান যা বলছে তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকেই। নানা দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে গণ ছাঁটাই। জানুয়ারি মাসে আইবিএম জানিয়েছিল ৪ হাজার কর্মীকে তাঁরা ছেঁটে ফেলবেন। সেই ছাঁটাই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই তাঁরা শুরু করে দিয়েছে সুকৌশলে। সরাসরি পিঙ্ক স্লিপ বা চলে যাও ভাই না বলে আইবিএম তাঁদের কর্মীদের থেকে জানতে চাইছে কারা আর সংস্থায় কাজ করতে চান না। জানতে পারলেই দ্রুত তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
টেকনোলজি নিয়ে যে সমস্ত সংস্থা কাজ করে তাঁদের হাঁড়ির খবর রাখে ব্রিটিশ ওয়েবসাইট দ্য রেজিস্ট্রার। তাঁদের একটি রিপোর্ট বলছে, ইউরোপের নানা দেশে লোক ছাঁটাইয়ের জন্য এই পথ নিয়েছে আইবিএম। গোটা প্রক্রিয়ার নাম দেওয়া হয়েছে রিসোর্স অ্যাকশন। কিন্তু, আইবিএমের মতো এত বড় টেক জায়েন্ট কেন ডাউন সাইজিংয়ের পথে হাঁটছে? সংস্থা বলছে, এ বছর তাঁরা তিনশো কোটি ডলার বাঁচাতে চায়। তাই লোকজন কমানো হচ্ছে। সঙ্গে বাজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চলে আসায় অনেকেরই প্রয়োজন ফুরিয়েছে। তবে শুধু আইবিএম নয়। সূত্রের খবর, গত কয়েক মাসে ২০০ সংস্থায় ৫০ হাজার মানুষ কাজ হারিয়েছেন।
জার্মান মাল্টিন্যাশনাল সফটওয়্যার কোম্পানি স্যাপ, আমেরিকান জায়েন্ট সিসকো, সবাই আছে এই তালিকায়। গত কয়েক সপ্তাহে গুগলের মাদার সংস্থা অ্যালফাবেট থেকেও বাদ পড়েছেন বহু কর্মী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অধিকাংশ টেক জায়ান্ট তাঁদের সংস্থাগুলিকে নতুন করে সাজাচ্ছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স চলে আসায় বহু ক্ষেত্রে মানুষের আর দরকারই পড়ছে না। কোথাও কোথাও গোটা ডিপার্টমেন্টগুলিই উঠে যাচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে মন্দার করাল গ্রাস। ইতিমধ্যেই মন্দার ছাপ জপান, ব্রিটেন। আরও বহু দেশ এই মন্দার মুখে দাঁড়িয়ে। তাঁদের শেয়ার দরও কমছে। লগ্নিকারীরা সাবধান হয়ে যাচ্ছেন। কোম্পানির ব্য়ালেন্স শিট খতিয়ে দেখে তারপরই কিনছেন শেয়ার। তাই কোম্পানিগুলি ব্যালেন্স শিটে লাভের অঙ্ক দেখাতে মরিয়া চেষ্টা করছে। খরচ কমাতে কোপ পড়ছে সাধারণ কর্মীদের উপর।