Savings Scheme: সস্তা সুদে ঋণ নেওয়ার দিন শেষ! পকেটে চাপ পড়ার আগে জেনে নিন এ সব জরুরি সংকেত
Interest rate news: আমরা যতটা সঞ্চয় করব সরকারকে তত কম টাকা বাজার থেকে ধার করতে হবে। সস্তায় ঋণ নেওয়ার দিনও এখন বিদায় হতে চলেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। অর্থাৎ ঋণ নিতে গেলে পকেটে বেশি চাপ পড়বে।
নয়া দিল্লি: আপনি কি জানেন, বাজেটের একটি পরিসংখ্যান ঘিরে মুম্বইয়ের দালাল স্ট্রিট (Dalal Street)থেকে দিল্লির অর্থ মন্ত্রকে জোর চর্চা চলছে। না, এই পরিসংখ্যান কোনও ঘাটতির নয়। বরং স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে জমা হওয়া বিপুল অর্থের। তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। কারণ বিষয়টাই আশ্চর্যজনক। লকডাউনের ঘোষণার পরে যখন লাখো প্রবাসী শ্রমিক উদ্ভ্রান্তের মতো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছিলেন তখন কারা বড় পরিমাণে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করেছিলেন? কম আয়বর্গের ব্যক্তিদের সঞ্চয়ের প্রতি আকৃষ্ট করতে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প শুরু করা হয়েছিল। বিশ্বাস হচ্ছে না? বাজেট পরিসংখ্যানের (Budget Estimate) উপরে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক। ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে পোস্ট অফিসের সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে (Savings Scheme) তার আগের বছরের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি টাকা জমা পড়তে পারে বলে অনুমান।
এখন প্রশ্ন হল, কারা এই সমস্ত প্রকল্পে টাকা রেখেছেন? কোভিড অনিশ্চয়তা অনেক লগ্নিকারীকে নিশ্চিত রিটার্নের টান স্বল্প সঞ্চয়ের প্রতি আকৃষ্ট করেছে। অনেকের কাছে টাকা ছিল, কিন্তু শেয়ার বাজারের অনিশ্চয়তার ধাক্কা সামলানোর মানসিকতা ছিল না, এমন লোক স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের প্রতি ভরসা রেখেছিলেন। পাশাপাশি ব্যাঙ্কের FD-তে সুদের হারও তলানিতে এসে পৌঁছেছিল।
এছাড়াও কয়েকটি কারণ ছিল। মহামারীর মধ্যে লোক খরচ করতে ইতস্তত করছিল।
চলতি আর্থিক বছরেও স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে ভাল বিনিয়োগ হয়েছে। সরকারের প্রত্যাশার থেকে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা বেশি। আগামী ২০২২-২৩ সালে প্রায় ৪ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা তুলবে অনুমান করা হচ্ছে, যা ২০২১-২২ আর্থিক বছরের তুলনায় সোয়া লক্ষ কোটি টাকা কম। কম হয়তো এই কারণে যে সঞ্চয়ের উপরে সুদের হার বাড়ছে এবং লোকজন ফের টাকা তুলে ব্যবসায় বিনিয়োগ করছেন। বা অন্য বিকল্প সঞ্চয়ের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন।
আমরা যতটা সঞ্চয় করব সরকারকে তত কম টাকা বাজার থেকে ধার করতে হবে। সস্তায় ঋণ নেওয়ার দিনও এখন বিদায় হতে চলেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। অর্থাৎ ঋণ নিতে গেলে পকেটে বেশি চাপ পড়বে।
সরকারকে এ বছর বাজার থেকে প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে, যা কোভিডের সময় থেকে সামান্য কম।
এই পরিসংখ্যান থেকে আমার-আপনার সঞ্চয়ের নিরিখে তিনটি জরুরি সঙ্কেত পাওয়া যাচ্ছে:
প্রথমত: স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হার না বাড়লেও কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ সরকার এর উপরে নির্ভরশীল। আর ব্যাঙ্ক যখন সুদ বাড়াচ্ছে তখন সরকার নিশ্চই এই পথকে আকর্ষক রাখতে চাইবে।
দ্বিতীয়ত: স্বল্প সঞ্চয়ের মাধ্যমে সরকারের ঘরে ঠিকমতো অর্থ জমা পড়লে সরকার কম ঋণ নেবে, যা শেয়ার, বন্ড বাজার থেকে আরবিআই- সবার জন্য স্বস্তিকর।
তৃতীয়ত: স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে কম টাকা জমা পড়লে সরকার বাজার থেকে বেশি ঋণ নেবে। সেক্ষেত্রে কর ও মূল্যবৃদ্ধির কোপে সাধারণ মানুষ আরও বেশি জর্জরিত হবে।
আরও পড়ুন : Salary Hike: আর মাত্র কয়েক বছরের অপেক্ষা, চিন-রাশিয়ার থেকেও বেশি বেতন পাবে ভারতীয় কর্মীরা