Price Hike: হু হু করে দাম বাড়ছে স্কুটি, মোবাইল, টিভি কিংবা ল্যাপটপের! কারণ একটাই…
Price Hike: শুধু মোবাইল বা ল্যাপটপই নয়, ফ্রিজ, ওয়াশিংমেশিন ও ফ্রিজের মতো ভোগ্যপণ্য তৈরির কাজেও ধাতু লাগে, তাই দাম বাড়বে সব ক্ষেত্রেই।
দু-বছর আগে কানপুরের শুক্লাজি মেয়ের জন্য স্কুটি কিনবেন ভাবছিলেন, এমন সময় হঠাৎ লকডাউন জারি হয়। এখন মেয়ে ফের স্কুটি কেনার জেদ ধরেছে। শোরুমে গিয়ে শুক্লাজির মাথায় হাত! দু-বছর আগে যে স্কুটির দাম ৬০ হাজার টাকা ছিল এখন সেটির জন্য তাঁকে ৮০ হাজার টাকা গুণতে হবে। শোরুমের এক কর্মী শুক্লাজিকে এও বলেছেন যে, আগামিদিনে মোটরসাইকেলের দাম আরও বাড়তে পারে।
করোনার কোপে গত দু-বছরে টু হুইলারের চাহিদা তলানিতে। তার পরেও দাম বাড়ল কীভাবে! এর কারণ হল এই সময়ে কাঁচামালের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
স্কুটি ও অন্য গাড়ি তৈরিতে সবথেকে বেশি ধাতু ব্যবহার করা হয়। গত দু-বছরে এই ধাতুর দাম বিপুল পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। স্টিলের দাম ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। তামার দাম বেড়েছে ৭৭ শতাংশের বেশি। আর অ্যালুমিনিয়াম ও নিকেলের দাম তো বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।
শুধু গাড়ি বানানোর কাজেই ধাতুর ব্যবহার হয় না। ফ্রিজ, ওয়াশিংমেশিন ও ফ্রিজের মতো ভোগ্যপণ্য তৈরির কাজেও ধাতু লাগে। আর এই সমস্ত পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি মূল্যবৃদ্ধির যুক্তিতে দাম বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে। টিভি, মোবাইল ও ল্য়াপটপ উৎপাদনেও ধাতু প্রয়োজন। অর্থাৎ এই গরমে এসি ও ফ্রিজের দাম তো বাড়তেই চলেছে, উপরন্তু মোবাইল ও ল্যাপটপের দামও বাড়ার সম্ভাবনা।
এখানেই শেষ নয়। ঘর, দোকান, বিল্ডিং এবং অন্যান্য পরিকাঠামো নির্মাণেও স্টিল, তামা, অ্যালুমিনিয়ামের মতো ধাতু বেশি পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ ধাতুর মূল্যবৃদ্ধি সামগ্রিকভাবে বাড়ি তৈরির খরচ বৃদ্ধি করবে।
ধাতুর মূল্যবৃদ্ধির নেপথ্যেও সেই করোনা। বিশ্বজুড়ে লকডাউনে কারণে পণ্যের যোগান ছিল না। আর এখন কাজকর্ম ফের শুরু হওয়ায় চাহিদা আকাশ ছোঁয়া। ভারতের মতো ধাতুর আমদানি নির্ভর দেশের পরিস্থিতি তো আরও খারাপ।
ভারতে স্টিল ছাড়া বাকি অধিকাংশ ধাতু বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে ভারতকেও বেশি দাম দিয়ে পণ্য কিনতে হবে। এখন প্রশ্ন হল, ধাতুর এই মূল্যবৃদ্ধির জ্বালা কতদিন আমাদের সইতে হবে? এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে মূল্যবৃদ্ধির কারণের মধ্যে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, যোগানের অভাবে পণ্যের দাম বেড়েছে। ফলে যোগান স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধির হাত থেকে নিস্তার নেই। কেডিয়া অ্যাডভাইজারির ডিরেক্টর অজয় কেডিয়ার মতে, জুন মাসের পরেই পণ্যের সাপ্লাই আগের মতো হওয়ার সম্ভাবনা। তারপরই পণ্যের দাম কমবে। অর্থাৎ ধাতুর মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কা আরও কয়েক মাস আপনাকে সামলাতে হতে পারে।
আরও পড়ুন : Savings Scheme: সস্তা সুদে ঋণ নেওয়ার দিন শেষ! পকেটে চাপ পড়ার আগে জেনে নিন এ সব জরুরি সংকেত
আরও পড়ুন : Salary Hike: আর মাত্র কয়েক বছরের অপেক্ষা, চিন-রাশিয়ার থেকেও বেশি বেতন পাবে ভারতীয় কর্মীরা