Ayodhya Ram Mandir: টাকা গুনতে SBI-এর শরণাপন্ন রাম মন্দির! একমাসে কত অনুদান পেল জানেন?

Ayodhya Ram Mandir ands SBI: প্রকাশ গুপ্তা জানিয়েছেন, এর মধ্যে ২৫ কেজি সোনা ও রুপোর অলঙ্কার, চেক, ড্রাফ্ট এবং নগদ রয়েছে। এছাড়াও, সরাসরি ট্রাস্টের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অনলাইনে টাকা পাঠিয়েছেন অনেকে, সেগুলি এখনও গোনা হয়নি। তিনি আরও জানিয়েছেন, রামভক্তরা ভক্তিভরে রামলালার জন্য রুপো ও সোনার তৈরি এমন কিছু জিনিসপত্র দান করেছেন, যা হয়তো শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দিরে ব্যবহার করা যাবে না।

Ayodhya Ram Mandir: টাকা গুনতে SBI-এর শরণাপন্ন রাম মন্দির! একমাসে কত অনুদান পেল জানেন?
টাকা গোনার জন্য SBI-এর সঙ্গে চুক্তি অযোধ্যা রাম মন্দিরেরImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Feb 26, 2024 | 9:50 AM

অযোধ্যা: এত বিপুল অনুদান আসছে, যে হাতে টাকা গুনে শেষ করা যাচ্ছে না। আর তাই স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার শরণাপন্ন হল অযোধ্যা রাম মন্দির ট্রাস্ট। ট্রাস্টের আধিকারিক প্রকাশ গুপ্তা জানিয়েছেন, মন্দিরে চত্বরে চারটি স্বয়ংক্রিয় টাকা গোনার যন্ত্র বসিয়ে দিয়েছে এসবিআই। কিন্তু কত অনুদান পেল রামমন্দির? ২২ জানুয়ারি মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। পরের এক মাসে ২৫ কোটি টাকার অনুদান পেয়েছে অযোধ্যা রাম মন্দির!

প্রকাশ গুপ্তা জানিয়েছেন, এর মধ্যে ২৫ কেজি সোনা ও রুপোর অলঙ্কার, চেক, ড্রাফ্ট এবং নগদ রয়েছে। এছাড়াও, সরাসরি ট্রাস্টের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অনলাইনে টাকা পাঠিয়েছেন অনেকে, সেগুলি এখনও গোনা হয়নি। তিনি আরও জানিয়েছেন, রামভক্তরা ভক্তিভরে রামলালার জন্য রুপো ও সোনার তৈরি এমন কিছু জিনিসপত্র দান করেছেন, যা হয়তো শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দিরে ব্যবহার করা যাবে না। তবে, ভক্তদের ভক্তির কথা বিবেচনা করে, মন্দির সোনা-রুপোর তৈরি এই জিনিসগুলি গ্রহণ করছে এবং ব্যাঙ্কে জমা করছে। পরবর্তীকালে, এগুলি বিক্রি করে নগদে পরিণত করা হবে।

২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠা হলেও, সাধারণ মানুষের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছিল ২৩ জানুয়ারি। সেই থেকে ৬০ লক্ষেরও বেশি ভক্ত অযোধ্যায় রামলালার দর্শন করেছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাস্টের কর্তারা। রাম নবমীর সময় অযোধ্যায় প্রায় ৫০ লক্ষ ভক্ত উপস্থিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেই সময় অনুদান আরো বাড়বে। রসিদ দেওয়ার জন্য ট্রাস্ট ১২টি কম্পিউটারাইজড কাউন্টার তৈরি করেছে। এছাড়া, মন্দির চত্বরে অতিরিক্ত দানবাক্সও রাখা হয়েছে। ট্রাস্টের সদস্যরা জানিয়েছেন, শিগগিরই রাম মন্দির চত্বরে একটি বড় এবং সুসজ্জিত গণনা কক্ষ তৈরি করা হবে।

তবে, সোনা, রুপো ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ভারত সরকারের কাছে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাম মন্দির ট্রাস্ট। এর জন্য এসবিআইয়ের সঙ্গে অনুদানের বিষয়ে একটি মউ স্বাক্ষর করেছে ট্রাস্ট। এই মউ অনুসারে, রাম মন্দিরে যে সকল অনুদান, চেক, ড্রাফ্ট এবং নগদ জমা পড়বে, তা সংগ্রহ করবে এসবিআই। পরবর্তী সময়ে সেগুলি ব্যাঙ্কে জমা করাও তাদের দায়িত্ব। এসবিআইয়ের কর্মীরা এখন দিনে দুবার করে নগদ অনুদান গণনা করছে।