বিরাট ধস, বিটকয়েনের স্বপ্নের দৌড় ৫ মিনিটেই চুরমার
ডিজিটাল কারেন্সি নিয়ে বিশেষ করে ভাবনা চিন্তা করছে বিশ্বের একাধিক ব্যাঙ্ক।
ওয়াশিংটন: ৬০ হাজার ডলার ছুঁতে ছুঁতেও ছোঁয়া হল না। স্রেফ ৫ মিনিটে মুখ থুবড়ে পড়ল বিটকয়েন (Bitcoin)। বিটকয়েনের এই ধসে ইউরোপিয়ান ট্রেডিংয়ে আমূল পরিবর্তন। ৩১ মার্চ ৫৯,৩৫০ ডলারে দাঁড়িয়েছিল বিটকয়েন। বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন তাড়াতাড়ি ৬০ হাজার ডলারের গণ্ডি টপকাবে ক্রিপ্টকারেন্সি। কিন্তু ছন্দপতন। কয়েন টেলিগ্রাফ মার্কেটস প্রো অ্যান্ড ট্রেডিংভিউর তথ্য অনুযায়ী, বাড়তি বিটকয়েনের ধারায় রীতিমতো বাধা।
পতনের আগের রাতেই ২.৪ শতাংশ বেড়েছিল বিটকয়েন। ৬০ হাজার ডলারের লক্ষ্যমাত্রায় দ্রুত গতিতে ছুটছিল ক্রিপ্টকারেন্সি। তারপর হঠাৎ ৫ মিনিটে ২,০০০ ডলার পতন। জানুয়ারি মাসে ৪০ হাজার ডলার ছুঁয়ে রেকর্ড গড়েছিল বিটকয়েন। তখন জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বাজারে দ্রুত বেড়েছিল বিটকয়েন।
২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা আবহে সোনা-রূপো, প্লাটিনামের দাম কমলেও দাম বেড়েছিল বিটকয়েনের। গত অক্টোবর মাসে পেপাল তাদের গ্রাহকদের বিটকয়েনের সুবিধা দেওয়ার কথা জানিয়েছিল। তারপর বিশেষজ্ঞ জেপি মরগান ক্রিপ্টোকারেন্সির সঙ্গে সোনার তুলনা করেছিলেন। ভবিষ্যতে ক্রিপ্টোকারেন্সি সোনার বিকল্প হতে পারেও বলে মত প্রকাশ করেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
ডিজিটাল কারেন্সি নিয়ে বিশেষ করে ভাবনা চিন্তা করছে বিশ্বের একাধিক ব্যাঙ্ক। ফেসবুকের নিজস্ব ডিজিটাল ইউনিট লিবরা উৎপাদনের বিষয় নিয়েও বিশেষ ভাবে ভাবছে আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ। তবে যেহেতু নিজের নাম গোপন রেখে গ্রাহকরা এই কারেন্সি লেনদেন করতে পারেন। তাই এক্ষেত্রে অপরাধমূলক কাজের সম্ভাবনা থেকে যায়।
আরও পড়ুন: নতুন অর্থবর্ষে বদলে যাচ্ছে ৮ ব্যাঙ্কের আইএফএসসি কোড, পরিবর্তন লেনদেনেও