হাসপাতালের খরচ মেটাতে ধার? ২০ হাজারের বেশি নগদ নিলেই পড়তে পারেন আইনি প্যাঁচে
হাসপাতালের খরচ মেটাতে অনেকেই আত্মীয় বা বন্ধুদের দ্বারস্থ হন। সে ক্ষেত্রে নগদে টাকা নেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই সঙ্কটের মুহূর্তে এই তথ্য জেনে নেওয়া জরুরি
নয়া দিল্লি: করোনা কালে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে খরচের চিন্তায় ঘুম উড়েছে অনেকেরই। কালোবাজারির কোপে অক্সিজেন বা জীবনদায়ী ওষুধ কিনতে কার্যত ঘর-বাড়ি বিক্রি করার অবস্থা হয়েছে সাধারণ মানুষের। প্রত্যেক পরিবারই পরিজনের প্রাণ বাঁচাতে পরিয়া চেষ্টা করে থাকে। বীমা না থাকলে, হাসপাতালের বিপুল খরচ মেটানো অসম্ভব হয়ে ওঠে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে পুর টাকা না মেটানোয় মৃতদেহ বের করতেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পরিবারকে। এমতাবস্থায় অনেক ক্ষেত্রেই এগিয়ে আসেন আত্মীয় বা বন্ধুরা। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে কোনও ব্যক্তির থেকে নগদে টাকা নেওয়ার একটা সীমা আছে। তার থেকে বেশি টাকা নিলে আয়কর আইনে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
মুম্বইয়ের বাসিন্দা বিশাল গুপ্তার সঙ্গে এমনটাই হয়েছে। গত বছর তাঁর বাবা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। হাসপাতালের খরচ মেটাতে হয় ৯ লক্ষ টাকা। বেশির ভাগ জোগাড় করেছিলেন আত্মীয় বা বন্ধুদের কাছ থেকে। এছাড়া এক সমাজকর্মীর থেকেও সাহায্য নিয়েছিলেন। আর সেই সমাজকর্মীর সঙ্গেই আইনি লড়াইয়ে জড়িয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, বেশির ভাগ টাকাই নগদে নিয়েছিলেন তিনি। বিশাল গুপ্তার মতো অনেকেই এ ভাবে নগদে টাকা নিয়ে থাকেন বিপদের সময়। কিন্তু জেনে নেওয়া জরুরি এভাবে নগদ ২০ হাজার টাকার বেশি ধার নেওয়া যায় না।
আরও পড়ুন: ICICI ব্যাঙ্ক বদল করল এফডি সুদের হার, বেশি সুবিধা পাবেন প্রবীণ নাগরিকরা
আয়কর আইনের 269SS ধারা অনুযায়ী, ২০ হাজার টাকার বেশি নগদে ধার নেওয়া যায় না। এর থেকে বেশি নিতে গেলে চেকের মাধ্যমে নিতে হবে অথবা ডিজিটালি ট্রান্সফার করতে হবে। অন্যথায় শাস্তির কথাও উল্লেখ রয়েছে আইনে। ২০ হাজারে বেশি টাকা নগদে নিলে আয়কর আইনে দ্বিগুণ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনাকালে রোগী পরিবারকে স্বস্তি, ২ লক্ষ টাকার উপর বিলে নগদ অর্থ দেওয়ায় সায় সরকারের