LIC IPO: আইপিও-র পথে আরও এক ধাপ এগোচ্ছে এলআইসি, ডিসেম্বরেই ঘোষণা হতে পারে ‘এমবেডেড ভ্যালু’
Embedded Value of LIC IPO: ওয়াকিবহাল এক সূত্রের খবর, চলতি আর্থিক বছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকের মধ্যেই আইপিও নিয়ে আসতে পারে এলআইসি।
নয়া দিল্লি: খুব দ্রুত আইপিওর বাজারে আসতে চলছে দেশের বৃহত্তম বিমা সংস্থা এলআইসি। আগামী বছরের প্রথম দিকেই আইপিও নিয়ে আসছে এলআইসি। কেন্দ্রের এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল এক সূত্রের খবর, চলতি আর্থিক বছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকের মধ্যেই আইপিও নিয়ে আসতে পারে এলআইসি।
জানা গিয়েছে, এলআইসি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্য়েই এমবেডেড ভ্যালু ঘোষণা করতে পারে। এই এমবেডেড ভ্যালুর উপর ভিত্তি করেই এলআইসির আইপিওর দর নির্ধারণ করা হবে। এই এমবেডেড ভ্য়ালু একজন বীমাকারীর ভবিষ্যত লভ্যাংশের বর্তমান মূল্য এবং বীমাকারীর মূলধন এবং নেট অ্যাসেট ভ্যালু (NAV)-র যোগফল।
এলআইসি এবং ভারত পেট্রোলিয়ামের (বিপিসিএল) শেয়ার বাজারে ছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য ২০২১-২২ সালের বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য, এই আর্থিক বছরে ১.৭৫ লাখ কোটি টাকার বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশের অনুমান, এলআইসি শেয়ার বাজারে একবার তালিকাভুক্ত হয়ে গেলে সরকার চলতি আর্থিক বছরে প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকা পেতে পারে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই এলআইসির শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। কিন্তু তারপর বিষয়টি নিয়ে আর তেমন নাড়াচাড়া হয়নি। অবশেষে এবার ফের একবার দেশের বৃহত্তম বিমা সংস্থার বিলগ্নিকরণের কথা ভাবছে সরকার। এলআইসির হাত ধরে দেশের সব থেকে বড় আইপিও বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। সূত্রের খবর, এলআইসির ৫-১০ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছাড়তে পারে কেন্দ্র। আর এই শেয়ার বাজারে ছেড়ে সেখান থেকে অন্তত এক লাখ কোটি টাকা তুলে নিতে পারে কেন্দ্র।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলআইসি, দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়। ভারতের জীবন বিমার বাজারের অন্তত ৬০ শতাংশ এলআইসি অন্তর্গত যাঁর আর্থিক বাজার মূল্য প্রায় ৫০,০০০ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি আর্থিক বছরে এলআইসির ৫ থেকে ১০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে ৯০০০০ কোটি টাকা তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র।