Ban on International Flight extended: ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হল আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবার উপর নিষেধাজ্ঞা

DGCA: আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকলেও পণ্যবাহী বিমানের ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকছে না।পণ্যবাহী বিমান স্বাভাবিক নিয়মেই যাতায়াত করবে।

Ban on International Flight extended: ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হল আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবার উপর নিষেধাজ্ঞা
পাকিস্তানকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে পাকিস্তান (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 28, 2021 | 7:33 PM

নয়াদিল্লি : আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবার উপর নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA)। চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হল নিষেধাজ্ঞা। গতবছরের মার্চ মাসে যখন করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছিল, তখন থেকেই বন্ধ রয়েছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা। এখন অবশ্য এয়ার বাবল চুক্তির মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু দেশের সঙ্গে সীমিত সংখ্যক উড়ান পরিষেবা চালু রাখা হয়েছে।

২০২০ সালের ২৬ জুন যে সার্কুলার জারি কার হয়েছিল, তা আংশিক পরিবর্তন করেছে ডিজিসিএ। আন্তর্জাতিক যাত্রী বিমানের স্বাভাবিক পরিষেবা ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর রাত ১১ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকলেও পণ্যবাহী বিমানের ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকছে না।পণ্যবাহী বিমান স্বাভাবিক নিয়মেই যাতায়াত করবে। আগের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছিল। এখন নতুন নির্দেশিকায় তা আরও একমাস বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গতবছর ২৩ মার্চ করোনা অতিমারির কারণে থেকে সমস্ত আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা এখনও চলছে। তবে যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এখন বেশ কিছু দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক এয়ার বাবল চুক্তির মাধ্যমে সীমিত সংখ্যক বিমান পরিষেবা চালু রাখা হয়েছে। বর্তমানে ২৭ টি দেশের সঙ্গে এয়ার বাবল চুক্তিতে আবদ্ধ রয়েছে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, কেনিয়া, ভুটান , ফ্রান্স, বাংলাদেশ সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ।

এয়ার বাবল চুক্তি হল করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দুই দেশের আন্তর্দেশীয় বিমান পরিবহনের এক সাময়িক বোঝাপড়া। এই চুক্তির আওতায় নিয়মিত বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকলেও যাত্রীদের সুবিধার জন্য দুই দেশের মধ্যে কিছু বিমান চালু করে দেওয়া হয়। এই চুক্তির আওতায় দুই দেশের উড়ান সংস্থাই অংশগ্রহনের অধিকার পায়। এক্ষেত্রে মাঝে কোনও ট্রানজ়িট থাকে না। সরসরি একটি স্থান থেকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যায় বিমানগুলি।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষকে ২৮ অগাস্ট ভারতের থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয় বিমান পরিষেবা চালু করার জন্য । সেই চিঠিতে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে উড়ান চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ থেকে বিষয়টি বিবেচনা করে জানানো হয়, ৪ সেপ্টেম্বর থেকে তারা ভারতের সঙ্গে বিমান পরিষেবা চালু করতে প্রস্তুত।

যতদিন পর্যন্ত না করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এয়ার বাবল চুক্তির আওতাতেই উড়ান পরিষেবা চালু রাখা হবে। ভারত থেকে আগত বিমানযাত্রীদের ১৪ দিন বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারানটিনে থাকতে হবে। এছাড়া আরটিপিসিআর পরীক্ষাও করাতে হবে।

আরও পড়ুন : Auto-Debit Payment: অক্টোবরে মাসিক কিস্তি, ইএমআই কাটাতে সমস্যায় পড়তে পারেন, জেনে নিন নতুন নিয়ম