DGCA on Flight Fare: অন্তর্দেশীয় উড়ান নিয়ে বড় ঘোষণা কেন্দ্রের, ৩১ অগস্টের পরই বাড়বে বিমানের টিকিটের দাম?
DGCA on Flight Fare: কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞার জন্যই সমস্ত উড়ান সংস্থাকে একদিকে যেমন টিকিটের দামের ঊর্ধ্ব ও নিম্নসীমা মেনে চলতে হত, তেমনই আবার যাত্রীদের বিশেষ কোনও ছাড় বা অফারও দিতে পারত না।
নয়া দিল্লি: পুজোর সময়ে ঘুরতে যাবেন প্লেনে চেপে? এখনও টিকিট কাটেননি? তাহলে এখনই টিকিট কাটার ব্যবস্থা করুন। আর কিছুদিন দেরি করলেই কিন্তু ওলট-পালট হয়ে যাবে আপনার ঘুরতে যাওয়ার বাজেট। কেন্দ্রের তরফে অন্তর্দেশীয় বিমানের টিকিটের দামে ঊর্ধ্বসীমা তুলে নিতেই এবার এক ধাক্কায় টিকিটের দাম অনেকটা বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। করোনাকালে যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে অন্তর্দেশীয় বিমানের টিকিটের দামে যে ঊর্ধ্বসীমা ও নিম্নসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তা তুলে নেওয়া হল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে। এবার থেকে দেশের মধ্যে যে সমস্ত বিমানগুলি চলাচল করে, তাদের সংশ্লিষ্ট সংস্থা যাত্রী সংখ্যা, টিকিটের চাহিদা ও জ্বালানির দাম অনুযায়ী বিমানের টিকিটের দামও ধার্য করতে পারবে।
বুধবারই ডিজিসিএ-র তরফে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে বলা হয়, “বর্তমান পরিস্থিতিতে বিমান চলাচল ও যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিমানের ভাড়ার উপরে যে ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তা তুলে নেওয়া হচ্ছে। আগামী ৩১ অগস্ট থেকে উড়ান সংস্থাগুলি নিজেরাই ভাড়া ধার্য করতে পারবে।”
— DGCA (@DGCAIndia) August 10, 2022
কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের এই নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ৩১ অগস্টের পর থেকে ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, এয়ার ইন্ডিয়া, ভিস্তারা ও আকাশা এয়ারের মতো উড়ান সংস্থাগুলি নিজেদের ইচ্ছামতো টিকিটের দাম ধার্য করতে পারবে এবং প্রয়োজনে ছাড়ও দিতে পারবে। এর উপরে কেন্দ্রের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে একদিকে যেমন বিমানের টিকিটের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তেমনই আবার উড়ান সংস্থাগুলি যাত্রীসংখ্য়া বাড়াতে ব্যাপক ছাড়ও দিতে পারবে, যা এতদিন দেওয়া সম্ভব ছিল না। কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞার জন্যই সমস্ত উড়ান সংস্থাকে একদিকে যেমন টিকিটের দামের ঊর্ধ্ব ও নিম্নসীমা মেনে চলতে হত, তেমনই আবার যাত্রীদের বিশেষ কোনও ছাড় বা অফারও দিতে পারত না। কেন্দ্রীয় উড়ানমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্ত খুশি বেসরকারি উড়ান সংস্থাগুলি।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসেই একাধিক উড়ান সংস্থা কেন্দ্রের কাছে টিকিটের দামের এই বিধিনিষেধের ঘেরাটোপ তুলে নেওয়ার আবেদন করেছিল। তাদের তরফে জানানো হয়েছিল, করোনা পরবর্তী সময়ে টিকিটের দাম বাড়ানো-কমানোর উপরে কড়া নির্দেশিকা থাকায় বিমান পরিবহণ ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। আন্তর্জাতিক বাজারে বিমানের জ্বালানির দাম বাড়লেও টিকিটের দাম বাড়ানো যাচ্ছে না। আবার গ্রাহকদের টানতে আগে যেরকম বিশেষ ছাড় দেওয়া হত, সেগুলিও দেওয়া যাচ্ছে না।