Income Tax : ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে কর না নেওয়ার আবেদন, কেন্দ্রকে নোটিস আদালতের

Income Tax : বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষের বেশি হলেই আয়কর জমা দেওয়াকে চ্যালেঞ্জ জানালেন এক ডিএমকে নেতা। তিনি সুপ্রিম কোর্টের EWS নিয়ে সাম্প্রতিক রায়ের প্রেক্ষিতে আয়কর দফতরের এই নিয়মকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে আবেদনও করেন।

Income Tax : ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে কর না নেওয়ার আবেদন, কেন্দ্রকে নোটিস আদালতের
কেন্দ্রীয় বাজেটের সময় এসেই গেল। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এই বছরের বাজেট থেকেও বেশ কিছু আশা রয়েছে সাধারণ নাগরিকদের। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট পেশের আগেই দেশের প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বড় উপহার ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 24, 2022 | 7:30 AM

সম্প্রতি কেন্দ্রের EWS (Economically Weaker Section) কোটা বহাল রাখা নিয়ে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এবার সেই রায়ের ভিত্তিতে দেশের আয়কর ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানালেন ডিএমকে নেতা (DMK Functionary) কুন্নুর সীনিভাসান। তিনি এই মর্মে মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চে একটি আবেদনও দাখিল করেছেন। সাধারণত যেসব নাগরিকের বার্ষিক আয় আড়াই লক্ষের বেশি তাঁরা সকলেই কেন্দ্রের আয়কর বা ইনকাম ট্যাক্সের আওতায় পড়েন। কেন্দ্রের এই নিয়মকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তিনি।

ডিএমকে নেতার যুক্তি, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী যেসব পরিবারের বার্ষিক আয় ৮ লক্ষ টাকার কম তাঁরা সকলে আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণি বা EWS কোটার আওতায় পড়েন। সেখানে ২.৫ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয়ের ব্য়ক্তিদের থেকে আয়কর সংগ্রহ করা যুক্তিসঙ্গত নয় বলেই দাবি সীনিবাসনের। এই মামলায় মাদুরাই বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি নোটিসও জারি করেছে। মাদুরাই বেঞ্চে দাখিল করা আবেদনের মাধ্যমে সাীনিবাসন ফিন্যান্স অ্য়াক্ট ২০২২ কে ‘নিয়ম বিরুদ্ধ’ হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন। এই আইনেই ২.৫ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয়ের ব্যক্তিদের আয়কর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

সম্প্রতি EWS নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে। EWS কোটার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার শর্ত হল কোনও ভারতীয় নাগরিকের পরিবারের বার্ষিক আয় ৭,৯৯,৯৯৯ টাকা পর্যন্ত হতে হবে। তাই ডিএমকে নেতার মতে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ও আয়কর নিয়ম একে অপরের বিরোধিতা করে। তাঁর যুক্তি যাঁদের বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার বেশি তাঁদের থেকে আয়কর নেওয়া উচিত নয় কারণ সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী তাঁরা ইতিমধ্যেই আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির মধ্যে পড়ছেন। এই আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি আর মহাদেভান, জে সাথ্য নারায়ণ প্রসাদের বেঞ্চ কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রকের কাছে নোটিস পাঠিয়েছে এবং এই মামলাকে দু’ সপ্তাহের জন্য মুলতুবি রেখেছে।