Byju’s lay off: হতে পারে আরও ১০০০ ছাঁটাই, বেকায়দায় ভারতের অন্যতম সেরা স্টার্টআপ বাইজুস

Byju's lay off: ঋণ খেলাপের সমস্যা, সেই সঙ্গে মার্কিন আদালতে চলছে আইনি লড়াই। এরই মধ্যে আরও কর্মী ছাঁটাই করবে এডটেক সংস্থা 'বাইজুস', এমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংস্থার পক্ষ থেকে এখনও কিছু না জানানো হলেও, একাধিক সংবাদ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে ১০০০ কর্মীকে ছাঁটাই করা হতে পারে।

Byju's lay off: হতে পারে আরও ১০০০ ছাঁটাই, বেকায়দায় ভারতের অন্যতম সেরা স্টার্টআপ বাইজুস
বাইজুস কর্তা বাইজু রবীন্দ্রন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 09, 2023 | 2:00 PM

নয়া দিল্লি: ঋণ খেলাপের সমস্যা, সেই সঙ্গে মার্কিন আদালতে চলছে আইনি লড়াই। এরই মধ্যে আরও কর্মী ছাঁটাই করবে এডটেক সংস্থা ‘বাইজুস’, এমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ‘দ্য মর্নিং কনটেক্সট’-এর এক রিপোর্ট অনুযায়ী, আরও অন্তত ১০০০ কর্মী ছাঁটাই করতে চায় বাইজুস। এই সম্পর্কে অবশ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে, একাধিক সংবাদ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মূলত চুক্তিভিত্তিক কর্মী এবং সেলস টিমের সদস্যদেরই ছাঁটাই করা হবে। চলতি বছরের শুরুতেই, এই সংস্থা ৯০০ থেকে ১০০০ জন কর্মী ছাঁটাই করেছিল। প্রোডাক্ট, কনটেন্ট, মিডিয়া এবং টেকনোলজির মতো বিভিন্ন বিভাগ থেকে এই ছাঁটাই করা হয়েছিল। সূত্রের খবর সংস্থার সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্টদের-সহ বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। এই কর্তারা একেকজন বছরে ১ কোটি টাকা বা তার বেশি বেতন পেতেন।

আসলে, বর্তমানে মোটেই ভাল অবস্থায় নেই বাইজুস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঋণদাতাদের সঙ্গে ঝামেলা চলছে। গত সোমবারই তাদের ৪ কোটি টাকার ঋণ শোধ করার কথা ছিল। কিন্তু, সংস্থা জানায় ঋণের বিষয়ে নিউ ইয়র্ক সুপ্রিম কোর্টে ঋণদাতাদের বিরুদ্ধে তারা একটি মামলা করেছে। সেই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা ঋণের কোনও পরিমাণই শোধ করবে না। ২০২১ সালের নভেম্বরে ঋণদাতাদের কাছ থেকে মেয়াদি ঋণ হিসেবে ১২০ কোটি টাকা তুলেছিল বাইজুস। সেই সময় কোভিড মহামারির কারণে অনলাইন পড়াশোনার ধুম লেগেছিল। তার জেরে লাফিয়ে লাফিয়ে ব্যবসা বেড়েছিল বাইজুসের। কিন্তু, মহামারির পর সেই বৃদ্ধি শ্লথ হয়ে গিয়েছে শুধু নয়, ব্যবসা বাড়ানোর কোনও পথই খুঁজে পাচ্ছে না এডটেক সংস্থাটি। এই আর্থিক ক্ষতির ঋণ শোধের কাঠামো পুনর্গঠনের জন্য ঋণদাতাদের সঙ্গে একটি চুক্তি করার চেষ্টা করেছিল সংস্থাটি। কিন্তু ঋণদাতারা পাল্টা আগে ভাগে ঋণ পরিশোধের দাবি তোলেন।

এরপরই মামলার পথে হেঁটেছে বাইজুস। স্টার্টআপ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে বাইজুস যে খরচ কমাতে চাইছে, তাতে বিস্ময়ের কিছু নেই। বৃদ্ধি একেবারে থমকে গিয়েছে। এই অবস্থায় পরীক্ষা প্রস্তুতির স্টার্টআপ সংস্থা ‘আকাশ’-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাইজুস একটা হাইব্রিড প্ল্যাটফর্ম তৈরি করায় মন দিচ্ছে। বর্তমানে অনলাইনে কোর্স বিক্রি করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই এই হাইব্রিড কৌশলকেই খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরে টিকে থাকতে চাইছে বাইজুস। চলতি বছরের শুরুতে ১০০০ জনকে ছাঁটাই করার আগে, ২০২২-এর অক্টোবরে আরও ২৫০০ কর্মীকে ছাঁটাই করেছিল সংস্থা।

২০১৫ সালে, এই স্টার্টআপ সংস্থার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষক বাইজু রবীন্দ্রন। মূল প্রতিষ্ঠাতা সংস্থাটির নাম ছিল থিঙ্ক অ্যান্ড লার্ন প্রাইভেট লিমিটেড। সেই সময় অনলাইনে পড়াশোনা খুব একটা জনপ্রিয় ছিল না। কিন্তু, গত এক দশক ধরে অনলাইন শিক্ষার চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বহরে বেড়েছে বাইজুস। দেশের সবথেকে মূল্যবান স্টার্টআপে পরিণত হয়েছে। টাইগার গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট, মার্ক জুকারবার্গের ‘চ্যান জুকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ’এর মতো লগ্নিকারীদের থেকে বিনিয়োগ আদায় করেছে এই সংস্থা। তবে বর্তমানে বেশ বেকায়দায় ভারতের এই স্টার্টআপ। তবে, সংস্থার দাবি, তারা যে সুদের অর্থ প্রদান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটি তাদের আর্থিক অসুবিধার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা উচিত নয়। এক বিবৃতিতে সংস্থা জানিয়েছে, “আর্থিকভাবে বাইজুসের শক্তি কমেনি। টার্ম লোন বি-এর ঋণদাতাদের সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা রয়েছে।”