Adani Group: প্রতিদ্বন্দ্বীদের টেক্কা! ‘কোহিনুর’ কিনে নিলেন ধনকুবের গৌতম আদানি

Gautam Adani: গৌতম আদানির সংস্থা আদানি উইলমার লিমিটেড ভোজ্যতেল আমদানি ও বিক্রিতে ভারতে সর্ববৃহৎ। আদানির সংস্থা এফএমসিজি বিক্রিতে দেশে প্রথমসারিতে রয়েছে।

Adani Group: প্রতিদ্বন্দ্বীদের টেক্কা! 'কোহিনুর' কিনে নিলেন ধনকুবের গৌতম আদানি
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 04, 2022 | 6:39 PM

নয়া দিল্লি: বিশ্বের সেরা ধনকুবের তালিকায় তিনি জায়গা করে নিয়েছেন। রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ অম্বানীর (Mukesh Ambani) পর তিনিই ভারতের সব থেকে ধনী ব্যক্তি। অনেকেই বলে থাকেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) সঙ্গে তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। সম্প্রতি বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মলেন তাঁর উপস্থিতি ও বিনিয়োগ প্রস্তাব শিল্পপতি মহলের নজর কেড়েছিল। তিনি আদানি গ্রুপের কর্ণাধার গৌতম আদানি (Gautam Adani)। এহেন দেশের অন্যতম সেরা শিল্পপতির দখলে এবার কোহিনুর। না না, এই কোহিনুর (Kohinoor Basmati Rice) কোনও হিরে নয়। জানা গিয়েছে মার্কিন সংস্থা ম্যাককরমিক থেকে বাসমতি চালের ব্র্যান্ড কোহিনুর কিনে নিয়েছে ধনকুবেরের সংস্থা আদানি উইলমার লিমিটেড। কোহিনুরের পাশাপাশি ওই মার্কিন সংস্থার চালের ওপর ব্র্যান্ড চারমিনারও কিনে নিয়েছে গৌতমের সংস্থা। মোট ১১৫ কোটি টাকায় এই চুক্তি হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

গৌতম আদানির সংস্থা আদানি উইলমার লিমিটেড ভোজ্যতেল আমদানি ও বিক্রিতে ভারতে সর্ববৃহৎ। আদানির সংস্থা এফএমসিজি বিক্রিতে দেশে প্রথমসারিতে রয়েছে। কোহিনুর অধিগ্রহণের ফলে আদানির সংস্থাস প্রতিযোগীদের কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে বলেই মনে করছে বাণিজ্য মহল। বাসমতি চালেরর ক্ষেত্রে কোহিনুর অত্যন্ত নামে ব্র্যান্ড। প্রথমসারি খাবারের দোকান ও রেস্তোরাঁতে এই চালই ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে চালের ব্র্যান্ড চারমিনারও মধ্যবিত্ত ভারতীয়দের কাছে বেশ জনপ্রিয়। পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, এফএমসিজি পণ্য বিক্রি করে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে গৌতমের সংস্থার ব্যবসা ১ হাজার ৯০৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২ হাজার ৬২১ কোটি টাকা হয়েছে। বাসমতি চালের এই ব্র্যান্ড কিনে নেওয়ার ফলে আদানির সংস্থায় প্যাকেটজাত বাসমতি চাল বিক্রিতে দেশে শীর্ষস্থানে থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আদানি উইমারের সিইও অংশু মল্লিক জানিয়েছেন, “কোহিনুর ব্র্যান্ডের চাল বাজারে খুবই জনপ্রিয়। তাই এই ব্র্যান্ড আমাদের হাতে চলে আসার ফলে এফএমসিজি ক্ষেত্রে আমরা অনেক বেশি উন্নতি করব। দেশে খাদ্যজাত পণ্যের ব্যবসা আমরাও আরও বাড়াতে চাই। এই চুক্তির ফলে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যবসা করার সম্ভাবনা বাড়বে।”