NPS Investment: প্রতি মাসে এই সরকারি প্রকল্পে বিনিয়োগ করুন ৩ হাজার টাকা, অবসরের পর রিটার্ন পাবেন ৪৫ লক্ষ টাকা!
NPS Investment: এই সরকারি প্রকল্পে বিনিয়োগ করার জন্য় আবেদনকারীর ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর হতে হবে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কর্মরত যে কেউ টায়ার-১ বা টায়ার-২ অ্য়াকাউন্টে নিজের নাম রেজিস্টার করতে পারেন।
নয়া দিল্লি: অর্থনীতির গতি ধীর, ক্রমশ বেড়েই চলেছে মূল্যবৃদ্ধি। আর মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জীবন-যাপনের খরচও।জ্বালানি থেকে শুরু করে শাকসবজি বা মুদি সামগ্রী, সমস্ত কিছুর দামই বাড়ছে চড়চড়িয়ে। এই মূল্যবৃদ্ধির যুগে যেখানে মাসিক সাংসারিক খরচ চালানোই দায়, সেখানে ভবিষ্যতের জন্য অর্থ সঞ্চয় করা অত্য়ন্ত কঠিন কাজ। তবে কর্মজীবন থেকে অবসর নেওয়ার পর আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সঞ্চয় অত্য়ন্ত জরুরি। কীভাবে বেশি গ্যাঁটের কড়ি খরচ না করে টাকা জমানো যায় এবং অবসরের পর মোটা অঙ্কের রিটার্ন পেতে পারেন, তা জেনে নিন।
কম খরচে এবং সহজেই অর্থ সঞ্চয়ের অন্যতম পন্থা হল ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম বা এনপিএসে বিনিয়োগ করা। এই সরকার্ প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে অবসরের পর মোটা অঙ্কের রিটার্ন পাওয়া যায়। পূর্বে এই প্রকল্পের সুবিধা শুধুমাত্র সরকারি কর্মীরাই পেতেন, তবে বর্তমানে বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তিরাও এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন।
ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমে বিনিয়োগের শর্ত-
এই সরকারি প্রকল্পে বিনিয়োগ করার জন্য় আবেদনকারীর ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর হতে হবে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কর্মরত যে কেউ টায়ার-১ বা টায়ার-২ অ্য়াকাউন্টে নিজের নাম রেজিস্টার করতে পারেন।
মাত্র ৫০০ টাকা থেকে এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করা সম্ভব।
কীভাবে অবসরের পরে লক্ষাধিক টাকা পাবেন এনপিএসে বিনিয়োগ করে?
ধরা যাক, আপনার বয়স ৩৪ বছর। যদি আপনি এনপিএস অ্যাকাউন্ট খোলেন এবং তাতে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করেন, তবে আগামী ২৬ বছর অবধি অর্থাৎ ৬০ বছর বয়স অবধি আপনি এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এনপিএসে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদের হার ১০ শতাংশ। যদি একটানা ২৬ বছরে আপনি এনপিএস প্রকল্পে ৯.৩৬ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন, তবে অবসরের পরে আপনি সুদ সমেত মোট ৪৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা রিটার্ন পাবেন।