Economic Growth: বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে ধাক্কা, বৃদ্ধি কমলেও শীর্ষে থাকবে ভারত
IMF: ২০২১-২২ অর্থবর্ষে (এপ্রিল ২০২১ থেকে মার্চ ২০২২) ভারতে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৭ শতাংশ। ২০২২ এবং ২৩ অর্থবর্ষে তা ধারাবাহিক ধরে কমার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে এই রিপোর্টে।
নয়াদিল্লি: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২০২২ এবং ২০২৩ অর্থবর্ষে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি কেমন হবে, তার পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ)। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিশ্ব জুড়েই ধাক্কা খাচ্ছে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি। উন্নত এবং উন্নয়নশীল অধিকাংশ দেশেই গত অর্থবর্ষের তুলনায় বৃদ্ধি কমছে। ভারতেও অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ধাক্কা খাবে বলে জানিয়েছে আইএমএফ। ২০২২ অর্থবর্ষে তা ৬.৮ শতাংশে নেমে আসবে বলে জানানো হয়েছে। ২০২৩ অর্থবর্ষে তা আরও কমে নামতে পারে ৬.১ শতাংশে। বৃদ্ধি ধাক্কা খেলেও বিশ্বের অন্য দেশগুলির তুলনায় বৃদ্ধি নিরিখে শীর্ষে থাকবে ভারত। যদিও বিশ্বের প্রথম সারির বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে ধাক্কার প্রভাব পড়তে পারে বলে মত আইএমএফের। আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং চিনের মতো দেশগুলিতেও কমবে আর্থিক বৃদ্ধির হার। ২০২৩ সালে বৃদ্ধিতে কমায় মন্দার অনুভূতি তৈরি হতে পারে বলেও সতর্কবার্তা দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড।
এ বছর জুলাই মাসে আইএমএফ ২০২২ অর্থবর্ষে ভারতের গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট (জিডিপি)-র বৃদ্ধি ৭.৪ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক রিপোর্টে ২০২২ অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার ৬.৮ শতাংশ হবে বলে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ জুলাইয়ের পূর্বাভাসের তুলনায় ভারতে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার কমছে ০.৬ শতাংশ।
২০২১-২২ অর্থবর্ষে (এপ্রিল ২০২১ থেকে মার্চ ২০২২) ভারতে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৭ শতাংশ। ২০২২ এবং ২৩ অর্থবর্ষে তা ধারাবাহিক ধরে কমার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে এই রিপোর্টে।
IMF Growth Forecast: 2023
USA??: 1% Germany??: -0.3% France??: 0.7% Italy??: -0.2% Spain??: 1.2% Japan??: 1.6% UK??: 0.3% Canada??: 1.5% China??: 4.4% India??: 6.1% Russia??: -2.3% Brazil??: 1% Mexico??: 1.2% KSA??: 3.7% Nigeria??: 3% RSA??: 1.1%https://t.co/VBrRHOfbIE #WEO pic.twitter.com/0TDJbgSuka
— IMF (@IMFNews) October 11, 2022
আগামী দুই অর্থবর্ষে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির কমবে বিশ্বের উন্নত দেশগুলিতেও। আমেরিকায় তা হবে ১ শতাংশ। জার্মানিতে -০.৩ শতাংশ। জাপানে ১.৬ শতাংশ। ব্রিটেনে ০.৩ শতাংশ। চিনে ৪.৪ শতাংশ। রাশিয়ায় -২.৩ শতাংশ। আইএমএফের ইকোনমিক কাউন্সিলর পিয়েরে অলিভার গৌরিনচাস বলেছেন, “অতিমারি পরবর্তী ক্ষতে যে প্রলেপ পড়েছিল, এ বছর তা আবার বাড়তে পারে। আগামী বছর পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। সে জন্য অনেকের কাছে ২০২৩ সাল রিসেশন বলে মনে হতে পারে।”