Indian Rail’s Income: বাতিল করা টিকিটের চার্জ থেকেই মালামাল রেল! জানেন রোজ কত আয় করে?

Cancelled Ticket Charges: অনেকেই জানেন না বাতিল করা টিকিট থেকে রেল প্রতিদিন কত আয় করে। পরিমাণটি জানলে অনেকেরই চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হবে! সম্প্রতি এক RTI-এর জবাবে জানা গিয়েছে, ভারতীয় রেলওয়ে কেবল বাতিল করা টিকিট থেকে প্রতিদিন ১ কোটি টাকার বেশি আয় করে।

Indian Rail's Income: বাতিল করা টিকিটের চার্জ থেকেই মালামাল রেল! জানেন রোজ কত আয় করে?
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Mar 26, 2024 | 10:29 AM

নয়া দিল্লি: ট্রেনের টিকিট কাটতে যেমন লম্বা লাইন পড়ে, তেমনই আজকাল ট্রেনের টিকিট বাতিলের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। হঠাৎ করে কোনও এমার্জেন্সি পড়ে যাওয়া হোক বা হুট করে প্ল্যান বদল অথবা বন্ধুদের সঙ্গে অন্য ট্রেনের টিকিট কনফার্ম হয়ে যাওয়ার কারণে আগে থেকে কেটে রাখা ট্রেনের কনফার্ম টিকিটও বাতিল করতে পিছু পা হন না যাত্রীরা। যদিও কনফার্ম টিকিট বাতিল করলে চার্জ হিসাবে কিছু টাকা কেটে নেয় রেল। ট্রেনযাত্রার সময় ও ট্রেনের ক্লাসের সঙ্গে নির্ভর করে সেই চার্জ কম-বেশি হয়। আর এভাবেই মালামাল হয়ে যাচ্ছে রেল!

অনেকেই জানেন না বাতিল করা টিকিট থেকে রেল প্রতিদিন কত আয় করে। পরিমাণটি জানলে অনেকেরই চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হবে! সম্প্রতি এক RTI-এর জবাবে জানা গিয়েছে, ভারতীয় রেলওয়ে কেবল বাতিল করা টিকিট থেকে প্রতিদিন ১ কোটি টাকার বেশি আয় করে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কেবল জানুয়ারি মাসেই বাতিল টিকিট থেকে ৪০ কোটি টাকার বেশি আয় করেছে রেল। আর এভাবে গত বছর রেলওয়ে কত আয় করেছে জানলে অবাক হবেন।

RTI-এর প্রতিক্রিয়া অনুসারে, ভারতীয় রেল গত ৩ বছরের মধ্যে বাতিল টিকিট থেকে ১,২৩০ কোটি টাকা আয় করেছে। এছাড়া চলতি বছরের কেবল জানুয়ারি মাসে মোট ৪৫.৮৬ লক্ষ বাতিল করা টিকিট থেকে ৪৩ কোটি টাকা আয় করেছে। তাও এটা এসেছে ওয়েটিং লিস্টে থাকা টিকিট থেকে। অর্থাৎ ওয়েটিং লিস্টের তালিকাভুক্ত ট্রেনের টিকিট বাতিলও ভারতীয় রেলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ট্রেনের টিকিট বাতিলের সংখ্যা বাড়ে। ফলে অনুষ্ঠান-উৎসবের সময় বাতিল ট্রেনের টিকিট থেকে রেলের আয় বেশি হয়। যেমন, গত দীপাবলিতে রেল ১০ কোটি টাকার বেশি আয় করেছে, তাও মাত্র এক সপ্তাহে। সাধারণত, স্লিপার ক্লাসে ট্রেনের কনফার্ম বা আরএসি টিকিট নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগে বাতিল করলে ৬০ টাকা টার্জ কাটা হয়। তৎকাল বা এসি টায়ারের ক্ষেত্রে এই চার্জ বাড়ে। আবার ট্রেনের নির্ধারিত যাত্রার সময়ের ৪৮-১২ ঘণ্টা আগে ই-টিকিট বাতিল করা হলে টিকিট ভাড়ার ২৫ শতাংশ বাতিলের চার্জ হিসাবে নেয় রেল।