সামান্য কমলেও ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই মূল্যবৃদ্ধি, নাজেহাল আম আদমি
ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের তথ্য বলছে, এই নিয়ে ৬ মাসে দ্বিতীয়বার যখন সামগ্রিক মূল্যবৃদ্ধি ৬ এর ওপরে।
নয়া দিল্লি: মে মাসে দেশে সামগ্রিক মূল্যবৃদ্ধি ছিল ৬.৩ শতাংশ। জুন মাসে সামান্য কমলেও মূল্যবৃদ্ধিতে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। জুন মাসে দেশে সামগ্রিক মূল্যবৃদ্ধি ৬.২৬ শতাংশ। যা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) সীমা ৬ এর থেকে অনেকটাই বেশি। ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের তথ্য বলছে, এই নিয়ে ৬ মাসে দ্বিতীয়বার যখন সামগ্রিক মূল্যবৃদ্ধি ৬ এর ওপরে।
মে মাসে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি ছিল সবেচেয়ে বেশি। টানা ৫ মাস বাড়তে বাড়তে ১২.৯৪ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছিল পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি। এর আগে এপ্রিল মাসে মূল্যবৃদ্ধির সূচক ছিল ১০.৪৯ শতাংশে। যা ১১ বছরে সর্বোচ্চ। সেই রেকর্ডও ভেঙে মে মাসে সর্বকালীন বেশিতে পৌঁছেছিল মূল্যবৃদ্ধি। বাণিজ্য মন্ত্রক এই রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী করেছিল পেট্রল ও ডিজেলের বেশি দামকে। আরও পড়ুন: সম্প্রসারণের গেরোয় ম্যারাথন পদত্যাগ, ভবিষ্যত কী রবিশঙ্কর-হর্ষ বর্ধনদের?
এ বিষয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক মহানন্দা কাঞ্জিলাল জানিয়েছিলেন, রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার নির্ধারিত করের জন্যই দাম বাড়ছে পেট্রল ও ডিজেলের। যার প্রভাব পড়ছে পাইকারি ক্ষেত্রেও। পেট্রলের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি ডিজেলের দাম বাড়ায় লাফিয়ে বাড়লে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম। পরিবহণ খরচাও বাড়ছে। এই সম্মিলিত প্রভাবই সামগ্রিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী। তিনি বলেন, “২০১৪ সালে পেট্রলে কেন্দ্র শুল্ক বসাত প্রতি লিটারে ৯.৪৮ টাকা যা ২০২০ সালে হয়ে গিয়েছে ৩২.৯০ টাকা। একই রকম ভাবে ডিজেলেও প্রায় প্রতি লিটারে ২৮ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ৬ বছরে কেন্দ্রের পেট্রল-ডিজেল থেকে কর হিসেবে আয় বেড়েছে প্রায় ৩০০ শতাংশ।” পেট্রল-ডিজেলের এই অধিক দাম বাড়ার জন্যই পাইকারি মূল্যবৃদ্ধিতে এই রেকর্ড। এ বার জুন মাসে তার প্রভাবে সামগ্রিক মূল্যবৃদ্ধি শতাংশের বিচারে কিছুটা কমলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। যা যথেষ্ট বেগ দিচ্ছে সাধারণ মানুষকে