সম্প্রসারণের গেরোয় ম্যারাথন পদত্যাগ, ভবিষ্যত কী রবিশঙ্কর-হর্ষ বর্ধনদের?
কী হবে এই বর্ষীয়ান রাজনীতিকদের? কোন ছকে রবিশঙ্কর, হর্ষ বর্ধনদের বসাবে বিজেপি?
নয়া দিল্লি: ঢেলে মন্ত্রিসভা সাজিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। নাম বাদ পড়েছে একাধিক অভিজ্ঞ মন্ত্রীর। ২ দফার মন্ত্রীদেরও স্থান হয়নি মোদীর মন্ত্রিসভায়। সূত্রের খবর, বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার এক ফোনেই পদত্যাগ করেছেন পূর্ণ ও প্রতি মন্ত্রীরা। করোনা আবহে বড় ভূমিকা পালন করছে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন পদত্যাগ করেছেন। আইটি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ টুইটারের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপের পরও মন্ত্রিসভা থেকে বাদ। কী হবে এই বর্ষীয়ান রাজনীতিকদের? কোন ছকে রবিশঙ্কর, হর্ষ বর্ধনদের বসাবে বিজেপি?
বিশ্লেষকদের মতে, মূলত সাংগঠনিক ক্ষেত্রে ফিরতে পারেন রবিশঙ্কর প্রসাদ ও হর্ষ বর্ধনরা। বিজেপির সংসদীয় বোর্ডে একাধিক পদ ফাঁকা রয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় কর্ম সমিতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটিতেও শূন্যপদ রয়েছে। সেখানে পদ পেতে পারেন সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রীরা। অনন্ত কুমার, অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজ মারা গিয়েছেন। ভেঙ্কাইয়া নাইডু বর্তমানে দেশের উপরাষ্ট্রপতি। মুকুল রায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ ছেড়ে এখন তৃণমূলে। অর্থাৎ এই একাধিক শূন্যপদে অগ্রাধিকার পাবেন প্রাক্তন মন্ত্রীরা।
সূত্রের খবর, প্রকাশ জাভড়েকর বা রবিশঙ্কর প্রসাদের মধ্যে একজন হতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। একজন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও হবেন এদের মধ্যে থেকে। প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরতে পারেন দিল্লির বিজেপি সংগঠনে। দীনেশ ত্রিবেদীও সংগঠনে কাজ করবেন বলে জানা গিয়েছে। বিহার নির্বাচনে ভাল কাজ করেছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। তাঁকে বিজেপির পার্লামেন্টারি বোর্ডে জায়গা দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে সূত্র। উত্তরাখণ্ডের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত ও তিরথ সিং রাওয়াতও সংগঠনে বড় পদ পেতে পারেন বলে সূত্রের খবর। বাংলা ইতিমধ্যেই ৪ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পেয়েছে। তাই সাংগঠনিক ক্ষেত্রে বাংলার আপাতত বড় কোনও পদ না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে অদূর ভবিষ্যতে বেসুরোদের সরিয়ে সেখানে নতুন কাউকে বসানো হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আরও পড়ুন: কংগ্রেসে অন্তর্যুদ্ধ, বিরোধী দলনেতার তকমা হারাতে পারেন অধীর!