Gold Bond: সোনায় বিনিয়োগের সেরা সুযোগ, জেনে নিন কী ভাবে বিনিয়োগ করবেন
Gold Bond: গোল্ড বণ্ডের আওতায় কোনও ব্যক্তি সর্বাধিক ৪ কেজি সোনা কিনতে পারেন। সোনা কেনার ন্যূনতম সীমা মাত্র এক গ্রাম।
নিজস্ব প্রতিনিধি: সোনায় বিনিয়োগ করার এটাই অব্যর্থ সময়। বর্তমানে বিভিন্ন ভাবে সোনায় বিনিয়োগ করা সম্ভব। এর মধ্যে সবচেয়ে ভাল ও সহজ উপায় সোভেরিয়ান গোল্ড বণ্ড (SGB)। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) এই বণ্ড বাজারে ছাড়ে। চলতি অর্থবর্ষে ইতিমধ্যেই সাতটি ভাগে এই বণ্ড বাজারে এসেছে। আজ সোমবার থেকে অষ্টম সিরিজ বাজারে ছাড়ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
কিন্তু কীভাবে এই বণ্ডে বিনিয়োগ করবেন আপনি, এখানে রইল তারই হদিশ।
কম দামে বেশি সোনা
বর্তমানে বাজারে ২৪ ক্যারেট সোনার প্রতি গ্রামের দাম প্রায ৪,৮০০ টাকা। সেখানে গোল্ড বন্ড পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৪,৭৪১ টাকায়। কিন্তু আপনাকে অনলাইনে এই গোল্ড বণ্ডে বিনিয়োগ করতে হবে। তবে আপনি অন্য যে কোনও ভাবেই বিনিয়োগ করতে পারেন। তার জন্য আপনাকে ৪,৭৯১ টাকা প্রতি গ্রামের জন্য খরচ করতে হবে।
আজ, অর্থাৎ ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত গোল্ড বণ্ডের অষ্টম সিরিজে বিনিয়োগ করা যাবে। ৭ ডিসেম্বর বণ্ড ইস্যু করা হবে।
কতটা সোনা কেনা যাবে?
গোল্ড বণ্ডের আওতায় কোনও ব্যক্তি সর্বাধিক ৪ কেজি সোনা কিনতে পারেন। সোনা কেনার ন্যূনতম সীমা মাত্র এক গ্রাম। তবে গোল্ড বণ্ড কেনার জন্য ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং কেওয়াইসি নথি সব ঠিক থাকতে হবে।
কী ভাবে বিনিয়োগ করবেন?
এই গোল্ড বণ্ড সব সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক, স্টক হোল্ডিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড, ক্লিয়ারিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড, নির্দিষ্ট সংখ্যক হেড পোস্ট অফিস এবং স্বীকৃত স্টক এক্সচেঞ্জ অর্থাৎ বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ ও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।
যে কেউ তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সরাসরি এই বণ্ড কিনতে পারেন।
গোল্ড বণ্ডে বিনিয়োগের সুবিধা
সোনার দাম যে ভাবে ওঠানামা করছে, তাতে গোল্ড বণ্ডে বিনিয়োগ একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি, এই বণ্ডে বিনিয়োগ ঝুঁকিবিহীন ও নিশ্চিত।
সোভেরিয়ান গোল্ড বণ্ড বিনিয়োগকারীদের বার্ষিক আড়াই শতাংশ সুদ প্রদান করে। এছাড়াও এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করলে ট্যাক্স ছাড়ের সুবিধাও রয়েছে। পাশাপাশি, এই বণ্ডে বিনিয়োগ করলে কমপক্ষে পাঁচ বছরের জন্য তা ভাঙা যায় না।
সাধারণত, গোল্ড বণ্ডে বিনিয়োগের সময়সীমা সর্বাধিক আট বছর। এক্ষেত্রে সোনার দামের উপর সবটা নির্ভর করে। বিনিয়োগের সময়সীমা শেষ হলে, সেই সময়ে সোনার যা দাম তা বিনিয়োগকারীকে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়।
ধরে নেওয়া যাক, কোনও ব্যক্তি ২০১৫ সালে এই বণ্ডে বিনিয়োগ করেছিলেন প্রতি গ্রাম ৩৪০০ টাকায়। তিনি যদি ২০২৩ সালে সেই বণ্ড বিক্রি করেন, তাহলে তিনি সেই সময় সোনার যা দাম হবে, সেই অনুযায়ী টাকা পাবেন।
পাশাপাশি, ২০১৫ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত প্রতি বছর, সেই বছর সোনার যা গড় দাম, সেই দামের উপর আড়াই শতাংশ সুদ পেয়ে থাকবেন।
আরও পড়ুন: Digital Currency: ডিজিটাল মুদ্রা আনা হোক ব্যাঙ্ক নোটের আওতায়, কেন্দ্রকে প্রস্তাব রিজার্ভ ব্যাঙ্কের