Savings: বিলাসবহুল জিনিস কেনার আগে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন, হবে বাড়তি সঞ্চয়

Savings: বিলাস সামগ্রী কিনতে একটি বাজেট তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাজেট তৈরি করুন। মাসিক বা ত্রৈমাসিক বাজেট তৈরিতে কোনও ক্ষতি নেই।

Savings: বিলাসবহুল জিনিস কেনার আগে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন, হবে বাড়তি সঞ্চয়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 10, 2022 | 8:20 AM

কলকাতা: বিলাসবহুল জিনিস কে না চায়! এগুলি বেশ ব্যয়বহুল হলেও কমবেশি অনেকেই তা কিনতে চান। তাই কোথা থেকে এবং কীভাবে বিলাসবহুল জিনিস কিনবেন তা জানা জরুরি। এমনভাবে কিনুন যাতে ইচ্ছা পূরণও হয় এবং খরচ বাজেটের মধ্যে থাকে। বিলাসবহুল জিনিসের সঙ্গে সম্পর্কিত সবচেয়ে গুরুত্বপর্ণ প্রশ্ন হল কী কিনবেন তা নয়, সেটি কিনতে কীভাবে অর্থ সঞ্চয় করা উচিত তা খেয়াল রাখা। এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি আপনার প্রিয় ব্র্যান্ডের জিনিস কিনতে চাইলে আগে আপনাকে সঞ্চয় করতে হবে। এটি শুনতে যতটা সহজ কার্যক্ষেত্রে সম্পন্ন করতে পারাটা ততটা নয়।

প্রথমত, পরিমাণ ও গুণমানের দিকে তাকানো উচিত।  আপনি যদি একটি বিলাসবহুল ঘড়ি, ব্যাগ বা ডিজাইনার পোশাক কিনতে চান তবে পরিমাণের পরিবর্তে কোয়ালিটির দিকে নজর দিন। অনেকগুলি জিনিস একসঙ্গে কেনা অত্যাধিক ব্যয়বহুল হবে। আপনি যদি একবারে একটি আইটেম কেনেন তাহলে এটি আপনার ব্যয় সীমিত রাখতে সাহায্য করবে। এতে আপনি সঞ্চয়ের সুযোগও পাবেন।

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনার জনিসটি আদৌও প্রয়োজন কি না, তা ভেবে দেখা প্রয়োজন। অর্থাৎ প্রয়োজন অনুসারে কেনাকাটা করুন। আপনার একজন সহকর্মী এটি কিনেছেন বলেই আপনাকেও কিনতে হবে এমন হওয়া উচিত নয়। সুতরাং শুধুমাত্র সেই জিনিসগুলি কিনুন যা আপনি নিজে পছন্দ করেন এবং আপনার সত্যিই এটির প্রয়োজন।

এবার সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ সম্পর্কে কথা বলা যাক। অর্থাৎ আপনার উচিত সঞ্চয় করা ও বিনিয়োগ করা। এরপর বিনিয়োগের রিটার্ন থেকে বিলাসবহুল জিনিস কেনা যেতে পারে। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড, মাসিক আয় স্কিম ইত্যাদির মতো কম ঝুঁকিপূর্ণ ইনস্ট্রুমেন্টে বিনিয়োগ করতে পারেন। এগুলি কেবল বেশি সুদ দেয় না, দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের মাধ্যমে সম্পদ তৈরি করতে সাহায্য করে, যা আপনি বিলাশ সামগ্রী কিনতে ব্যবহার করতে পারেন।

জোর দিন সঞ্চয়ে 

বিলাস সামগ্রী কিনতে একটি বাজেট তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাজেট তৈরি করুন। মাসিক বা ত্রৈমাসিক বাজেট তৈরিতে কোনও ক্ষতি নেই।  এভাবে আপনি সঞ্চয় বাড়িয়ে তারপর সেই সঞ্চয় ব্যবহার করে বিলাসবহুল সামগ্রী কিনতে পারেন।

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বিভিন্ন ফ্যাশন সাইট রয়েছে যেখানে আপনি তুলনামূলকভাবে কম দামে বিলাসবহুল পোশাক, ঘড়ি, জুতো, ব্যাগ এবং অন্যান্য বিভিন্ন জিনিস কিনতে পারেন। এই ওয়েবসাইটগুলি নিয়মিত নানারকম অফার দিয়ে থাকে। যেমন Ajio Luxe, Luxepolis, Darveys এবং Tata CLiQ Luxury-এর মতো সাইট শোরুমের তুলনায় কম দামে বিলাসবহুল জিনিস দিয়ে থাকে।

সবশেষে কিছু টিপস যা আপনাকে জিনিস কিনতে সহায়তা করবে

১. বিভিন্ন দোকানে সেকেন্ড হ্যান্ড জিনিস বিক্রি হয়। এগুলি অনেক সময় খুব ভাল অবস্থায় থাকে এবং দেখতেও নতুনের মতো মনে হয়। তাই আপনি কম দামে বিলাসবহুল জিনিসগুলির জন্য এভাবেও আপনার ইচ্ছাপূরণ করতে পারেন।

 ২. ডিজাইনার ব্র্যান্ডগুলির সেলের জন্য আলাদা মরসুম থাকে, যা সাধারণত বছরে দু’বার হয়। সেই সময় আপনি তাদের দোকানে গিয়ে পছন্দের জিনিস কিনতে পারেন।

৩. বিমানবন্দরে শুল্কমুক্ত দোকান থাকে। সেখানে আপনি বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে জিনিস পাবেন। তাই শুল্কমুক্ত দোকান থেকে বিলাসবহুল জিনিস কেনার কথাও ভেবে দেখতে পারেন।