Paper Gold: অক্ষয় তৃতীয়ায় সোনা কিনতে চান? বিনিয়োগ করুন ‘পেপার গোল্ডে’
Akshaya Tritiya 2023 paper gold: সামনেই অক্ষয় তৃতীয়ার উৎসব। এই দিনে সোনায় বিনিয়োগ করা শুভ বলে মনে করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি যদি এখনও সোনায় বিনিয়োগ নিয়ে বিভ্রান্ত থাকেন, তবে 'পেপার গোল্ড' কেনা আপনার জন্য সঠিক হতে পারে। জেনে নিন কী এটা।
নয়া দিল্লি: সামনেই অক্ষয় তৃতীয়া। এই দিনে সোনা কেনা শুভ বলে মনে করা হয়। কারণ ভারতে সোনাকে সবসময়ই ‘অক্ষয় বিনিয়োগ’ বলে মনে করে। আপনিও কি এই দিনে সোনা কিনতে চান? কিন্তু কোথায় বিনিয়োগ করবেন বুঝতে পারছেন না? আপনার জন্য দারুণ লাভজনক হতে পারে ‘পেপার গোল্ড’। কী এই ‘পেপার গোল্ড’? সাধারণ সোনার কয়েন, বিস্কুট বা গয়না থেকে এটি কোথায় আলাদা? কেন ‘পেপার গোল্ডে’ বিনিয়োগ, সাধারণ সোনায় বিনিয়োগের থেকে ভাল? আসুন জেনে নেওয়া যাক –
‘পেপার গোল্ড’ কী?
সোনার মুদ্রা, বিস্কুট বা গয়না – অর্থাৎ সোনার ধাতব রূপকে ‘ফিজিক্যাল গোল্ড’ বলা হয়। ধরুন আপনার কাছে সোনার কোনো বস্তু নেই। কিন্তু একটি কাগজের টুকরো আছে। যার মূল্য সোনার সমান। এর রিটার্নও সোনার রিটার্নের মতোই। এটিই হল পেপার গোল্ড বা কাগুজে সোনা। অর্থাৎ, এমন একটি কাগজ বা নথি যা সোনার মূল্য ধারণ করে। ভারতে অনেক ধরনের পেপার গোল্ডে বিনিয়োগ করা যায়। এর মধ্যে সভেরিন গোল্ড বন্ড, গোল্ড ইটিএফ এবং ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সোনার মিউচুয়াল ফান্ডের মতো বিভিন্ন বিকল্প রয়েছে।
‘পেপার গোল্ডের’ উপকারিতা?
আপনি যখন ফিজিক্যাল গোল্ডে বিনিয়োগ করেন, তখন আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সোনা কিনতে হয়। পেপার গোল্ডে এমন কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। আপনি চাইলে ১ গ্রামের মতো অল্প পরিমাণেও কিনতে পারেন। এছাড়াও, ফিজিক্যাল গোল্ডের তুলনায় কিছু পেপার গোল্ডের রিটার্নও বেশি। সভেরিন গোল্ড বন্ডের মতো এতেও আরবিআই ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে কেনাকাটায়, প্রতি গ্রামে ৫০ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। একই সময়ে, এটি ডিম্যাট আকারে কিনে আপনি শেয়ার বাজারেও ব্যবসা করতে পারেন। শুধু তাই নয়, সভেরিন গোল্ড বন্ডে সোনার মূল্য ছাড়াও প্রতি বছর ২.৫ শতাংশ করে সুদ পাওয়া যায়। একইভাবে, গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ডগুলি শুধুমাত্র সোনায় বিনিয়োগ করে না। তবে, কখনও কখনও তাদের পোর্টফোলিওতে এমন সংস্থাগুলিও অন্তর্ভুক্ত থাকে যেগুলি সোনার খনি এবং অন্যান্য সোনা-সম্পর্কিত কাজে যুক্ত। এই কারণে, সোনার তুলনায় এই তহবিলে বিনিয়োগে লাভ বেশি। এগুলিতে বিনিয়োগ করতে আপনার প্রচুর অর্থেরও প্রয়োজন নেই। ন্যূনতম ১০০০ টাকার মাসিক কিস্তিতেই বিনিয়োগ শুরু করা যেতে পারে।
কেন পেপার গোল্ড, ফিজিক্যাল গোল্ডের থেকে ভাল?
উপরের আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, পেপার গোল্ডে বিনিয়োগ করে, আপনি ফিজিক্যাল সোনার চেয়ে অনেক গুণ বেশি রিটার্ন পেতে পারেন। দ্বিতীয়ত, কাগুজে সোনা ধরে রাখার খরচ কম। আপনি যদি সোনার গয়না তৈরি করেন, তবে আপনাকে তার সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত থাকতে হবে। আপনি যদি সেটি ব্যাঙ্ক লকারে রাখেন, তবে আপনাকে লকারের মূল্য দিতে হবে। শুধু তাই নয়, সোনার গয়না, কয়েন বা অন্য কোনও পণ্যের মেকিং চার্জ দিতে হবে, যা ৩ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। এমন কিন্তু, এই মেকিং চার্জের জন্য প্রদত্ত অর্থের কোনও রিটার্ন পাওয়া যায় না। অতএব এই বছর অক্ষয় তৃতীয়ায়, আপনি যদি সোনায় বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তবে অবশ্যই এই বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন। আপনার এখনকার সিদ্ধান্ত, আপনার ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য দারুণ লাভজনক হতে পারে।