Modi’s US visit: প্রধানমন্ত্রী মোদীর মার্কিন সফরে নিশ্চিত ১ লক্ষ ভারতীয়র চাকরি, দাবি আইটি মন্ত্রীর
PM Modi's US visit: প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে অন্তত ১ লক্ষ ভারতীয়র সরাসরি চাকরি হবে বলে দাবি করলেন আইটি দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর।
নয়া দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরে বড় লগ্নির কথা ঘোষণা করেছে মার্কিন সংস্থাগুলি। যার জেরে ভারতে সরাসরি ন্যূনতম ৮০,০০০ থেকে ১ লক্ষ চাকরি তৈরি হবে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। এর পাশাপাশি, সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরে মার্কিন লগ্নিতে সামগ্রিকভাবে সরবরাহ শৃঙ্খলে কয়েক হাজার পরোক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। অর্থাৎ, সরাসরি সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে যুক্ত না হলেও, তার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য ক্ষেত্রে তাদের চাকরি হবে। রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন, “শুধুমাত্র ইলেক্ট্রনিক্স শিল্প ক্ষেত্রেই মাত্র দুই বছরে ১০-১২ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। ভারতে মেমরি চিপ তৈরির জন্য মাইক্রনের মতো সংস্থাদের সাম্প্রতিক ঘোষণাগুলি আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আমি মনে করি কমপক্ষে ৮০,০০০ থেকে ১ লক্ষ নতুন কাজ হবে। এই উদ্যোগগুলিতে সরাসরি চাকরি তৈরি হচ্ছে।”
প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফরের সময়, মার্কিন সেমিকন্ডাক্টর সংস্থা মাইক্রন টেকনোলজি ২৭৫ কোটি টাকা লগ্নিতে একটি সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসেম্বেল এবং পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করবে বলে জানিয়েছে। মাইক্রন সংস্থার প্রেসিডেন্ট তথা সিইও-ও ভারতীয়-মার্কিন নাগরিক সঞ্জয় মেহরোত্রা। ওয়াশিংটনে তাঁর সঙ্গে একটি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আর, তারপরই মার্কিন সংস্থাটি ভারতে লগ্নির কথা ঘোষণা করে। মাইক্রন ছাড়াও ‘অ্যাপ্লাইড মেটেরিয়ালস’ নামে আরও এক সেমিকন্ডাক্টর সংস্থাও আগামী ৪ বছরের মধ্যে ভারতে ৪০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগে একটি কোলাবোরেটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টার তৈরি করবে বলে জানিয়েছে। এছাড়া, ল্যাম রিসার্চ নামে একটি ওয়েফার-ফ্যাব্রিকেশন ইকুপমেন্ট সাপ্লায়ার সংস্থা ভারতের হাই-টেক ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সব মিলিয়ে ৬০,০০০ হাই-টেক ইঞ্জিনিয়ারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
মার্কিন কংগ্রেসে বক্তৃতা দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, তিনি চান চলতি দশক ‘টেকেড’-এ পরিণত হোক। অর্থাৎ, তথ্য-প্রযুক্তির দশক হোক এই দশক। রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন, “ভারতের ‘টেকেডে’ যুবদের জন্য মার্কিন স্টার্টআপ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলিতে কাজের অনেক সুযোগ থাকবে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর মার্কিন সফরের সময় সেমিকন্ডাক্টর, এআই, কোয়ান্টাম এবং হাই-পারফরম্যান্স কম্পিউটিং-এর ক্ষেত্রে যে যে ঘোষণাগুলি করা হয়েছে, তা থেকেই এর স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। আর এটা তো সবে শুরু। আন্তর্জাতিক ইলেকট্রনিক্স এবং সেমিকন্ডাক্টর তৈরিতে এবং এর সরবরাহ শৃঙ্খলে বিশ্বস্ত অংশীদার হিসাবে ভারতর গুরুত্ব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।”