Rice Price: গরিবের পাতে কি জুটবে না পান্তা ভাতও? লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম

Rice to get costlier: বৃহস্পতিবার, ভারত সরকারের বার্ষিক অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে ফলন কম হওয়ায় খাদ্যপণ্যের মূল্য আরও বাড়তে পারে। এই অবস্থায় চাল ছুঁলেও লাগতে পারে ছ্যাঁকা। কারণ, সারা বিশ্বে এখন গত ১১ বছরের মধ্যে তাদের চালের দাম পৌঁছেছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।

Rice Price: গরিবের পাতে কি জুটবে না পান্তা ভাতও? লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম
Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 09, 2023 | 9:54 PM

নয়া দিল্লি: আকাশ ছোঁয়া সবজির দাম। জ্বালানি তেলের থেকেও এখন বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে টম্যাটো, আদা, লঙ্কার মতো নিত্য প্রয়োজনীয় শাক-সবজি। খাদ্যপণ্যের মূল্য এখনই কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবার, ভারত সরকারের বার্ষিক অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে ফলন কম হওয়ায় খাদ্যপণ্যের মূল্য আরও বাড়তে পারে। এই অবস্থায় চাল ছুঁলেও লাগতে পারে ছ্যাঁকা। কারণ, সারা বিশ্বে এখন গত ১১ বছরের মধ্যে তাদের চালের দাম পৌঁছেছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। সারা বিশ্বে যত চাল রফতানি করা হয়, তার ৪০ শতাংশের বেশি যায় ভারত থেকে। ফলন কম হওয়ায় চালে চালানও কম হবে। ফল, চালের দাম বাড়তে বাধ্য। পাশাপাশি, কৃষকরা যাতে কোনওভাবে বঞ্চিত না হন, তার জন্য সম্প্রতি কৃষকদের ন্যূনতম সমর্থন মূল্য বাড়িয়েছে সরকার। রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিভি কৃষ্ণা রাও বলেছেন, “সবচেয়ে সস্তায় চাল রফতানি করে ভারত। নতুন ন্যূনতম সহায়তা মূল্যের কারণে ভারতের চালের দাম বেড়ে গিয়েছে। ফলে, অন্যান্য সরবরাহকারীরাও এখন দাম বাড়াতে শুরু করছে।”

গত মাসে সরকার নতুন মরসুমের জন্য কৃষকদের ন্যূনতম সহায়তা মূল্য ৭ শতাংশ বাড়িয়েছে। এর ফলে, ভারতের চাল রপ্তানির মূল্য ৯ শতাংশ বেড়েছে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে বর্তমানে সর্বোচ্চ দামে তাল রফতানি করছে ভারত। তবে, এল নিনোর প্রভাব কোনও একটি দেশে আটকে নেই। সারা বিশ্বের ৯০ শতাংশ চালই উৎপন্ন হয় এশিয়ার দেশগুলিতে। মূল চাল উৎপাদন কারী ছয়টি দেশ – বাংলাদেশ, চিন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম-এ এই বছর খামকেয়ালি আবহাওয়ার প্রভাবে চালের উৎপাদন কম হয়েছে। ফলে, সবকটি দেশেই চালের দাম বাড়তে চলেছে। তবে, তার আগেই ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে চালের দাম। ওলাম ইন্ডিয়ার রাইস বিজনেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিতিন গুপ্তা বলেছেন, “সীমিত সরবরাহের কারণে ইতিমধ্যেই চালের দাম বেড়েছে। উৎপাদন কমে গেলে, দাম আরও বাড়বে।”

মার্কিন কৃষি বিভাগ সতর্ক করেছে, শীর্ষস্থানীয় দুই চাল উৎপাদক দেশ চিন ও ভারতে মজুত চালের পরিমাণ কমে যাওয়ায় চলতি আর্থিক বছরের শেষে সারা বিশ্বের চালের ভাঁড়ার ১৭০.২ মিলিয়ন টন-এ নেমে যেতে পারে। গত ছয় বছরে চালের ভাড়ার এতটা কম কখনও হয়নি। শুক্রবার পর্যন্ত দেকা গিয়েছে, গ্রীষ্মে বপন করা ধানের ফলন, গত বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ কম। কারণ, এই বছর স্বাভাবিকের তুলনায় ৮ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। এল নিনোর ফলে, প্রায় সমস্ত এশীয় দেশেই রবি ফসলের ফলনও স্বাভাবিকের থেকে কম হবে। ফলে, বছরের দ্বিতীয়ফসল উঠলেও চালের দাম কমার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ব বাজারে চালের দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।