Online Food Delivery: প্রতিদিনই সুইগি-জ্যোমাটোয় খাবার অর্ডার করেন? কত টাকা অতিরিক্ত খরচ করছেন, জানেন?
Online Food Delivery: সম্প্রতিই জ়েফরিস নামক একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা দেশের ৪টি বড় শহরে ৪০টিরও বেশি রেস্তরাঁয় সমীক্ষা চালায় এই দামের পার্থক্য খুঁজে বের করার জন্য। সমীক্ষা শেষে দেখা যায়, ৫ বা ১০ শতাংশ নয়, অনলাইনে ৬০ শতাংশ অবধিও অতিরিক্ত খাবারের দাম নেওয়া হয়।
নয়া দিল্লি: রোজ রোজ বাড়ির খাবার না-পসন্দ অনেকেরই। অনেকে আবার পড়াশোনা বা কাজের সূত্রে বাড়ির বাইরে একা থাকেন। সেখানে মেসের খাবার বা নিজের রান্না করা খাবারই মুখে রোচে না। সেই সময়ে পরিত্রাতা হয় সুইগি বা জ্যোমাটোর মতো অ্যাপই। বাড়িতে বসেই পছন্দসই খাবার পেয়ে যাওয়ার জন্য গ্রাহকদের খাবারের দামের পাশাপাশি অতিরিক্ত সার্ভিস ট্যাক্সও দিতে হয়। তবে অধিকাংশ গ্রাহকেরই আজকাল অভিযোগ, সার্ভিস চার্জ বাবদ অনেকটাই বেশি টাকা নিচ্ছে অনলাইন খাবার ডেলিভারি অ্যাপগুলি। কিন্তু রেস্তরাঁর খাবারের সঙ্গেও অনলাইন অ্যাপে খাবারের দামে কতটা ফারাক থাকে, জানেন?
সম্প্রতিই জ়েফরিস নামক একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা দেশের ৪টি বড় শহরে ৪০টিরও বেশি রেস্তরাঁয় সমীক্ষা চালায় এই দামের পার্থক্য খুঁজে বের করার জন্য। সমীক্ষা শেষে দেখা যায়, ৫ বা ১০ শতাংশ নয়, অনলাইনে ৬০ শতাংশ অবধিও অতিরিক্ত খাবারের দাম নেওয়া হয়। অর্থাৎ রেস্তরাঁ বা দোকানে কোনও খাবারের দাম যদি ১০০ টাকা হয়, তবে অনলাইনে সেই খাবারই বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। নামি-দামি রেস্তরাঁই হোক বা ছোট্ট কোনও দোকান, জনপ্রিয়তা ও গ্রাহকের অর্ডার করার প্যাটার্নের উপর নির্ভর করেই অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপগুলি নিজেদের লাভের জন্য দাম বাড়াতে থাকে।
অনলাইন ও অফলাইনে খাবারের দামে ফারাক কেন?
সমীক্ষাতে দামের এই বিস্তর ফারাকের কারণও জানার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাতে বেশ কয়েকটি কারণ সামনে আসে। জ্যোমাটোর মতো অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপগুলির খাবার ডেলিভারি করার জন্য আলাদা একটি সার্ভিস চার্জ থাকে। এর পাশাপাশি তারা নিজেদের কমিশনের জন্য খাবারের দামের কমা-বাড়াও ধার্য করে। বিজ্ঞাপন বাবদ যে বিপুল অর্থ ব্যায় করতে হয় অনলাইন অ্যাপগুলিকে, সেই টাকাও এই ডেলিভারি ও সার্ভিস চার্জের মাধ্যমেই আদায় করে জ্যোমাটো। খাবারটি যাতে গ্রাহকের কাছে সুরক্ষিতভাবে পৌঁছয়, তার জন্য অধিকাংশ দোকানই আবার প্যাকিং চার্জও নেয়।