Noida Twin Tower: ৯ সেকেন্ডে ভাঙল গগনচুম্বী ইমারত, টুইন টাওয়ারের বাসিন্দাদের কী হল জানেন?
Noida Twin Tower: জানা গিয়েছে, টুইন টাওয়ারে ফ্ল্যাট কেনার জন্য মোট ৭১১ জন টাকা দিয়েছিলেন। এক একটি ফ্ল্যাটের মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৩ কোটি টাকা অবধি ছিল।
নয়া দিল্লি: প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল অনেক আগে থেকেই। রবিবার দুপুরে ঘড়ির কাঁটা আড়াইটে ছুঁতেই এক পলকে ভেঙে গুড়িয়ে গেল নয়ডার টুইন টাওয়ার। বেআইনি নির্মাণের কারণে ৪০ তলার দুটি বিল্ডিং সহ গোটা আবাসনটিই ভেঙে ফেলা হয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। এত বড় কর্মযজ্ঞের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল অনেক আগে থেকেই। বিগত প্রায় এক মাস ধরেই চলছিল টুইন টাওয়ার ভাঙার পরিকল্পনা ও কাজ। বর্তমানে সকলের মনে প্রশ্ন একটাই- টুইন টাওয়ার তো ভাঙা পড়ল, কিন্তু এর বাসিন্দাদের কী হবে?
নয়ডা ও গ্রেটার নয়ডার সংযোগস্থলে, সেক্টর ৯৩এ-তে অবস্থিত ছিল এই টুইন টাওয়ার। প্রাথমিকভাবে নয়তলা বিল্ডিং হওয়ার কথা থাকলেও, ২০১২ সালে হঠাৎ বদলে দেওয়া হয় পরিকল্পনা। ১৪টির বদলে তৈরি করা হয় ১৫টি বিল্ডিং, প্রত্যেকটিতে ছিল ১৪টি তল। দুটি ৪০ তলের বিল্ডিংও বানানো হয়। এরপরই বেঁকে বসেন সুপারটেক লিমিটেডের তৈরি এমারেল্ড কোর্টের বাসিন্দারা। প্রথমে নয়ডা পুরসভা ও পরে এলাহাবাদ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। ২০১৪ সালে হাইকোর্টের তরফে যখন টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়, তখনই জানানো হয়েছিল ওই টুইন টাওয়ারে যারা ফ্ল্যাট কিনেছিলেন, তাদের যেন ক্ষতিপূরণ বাবদ ফ্ল্যাটের মূল্য ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, টুইন টাওয়ারে ফ্ল্যাট কেনার জন্য মোট ৭১১ জন টাকা দিয়েছিলেন। এক একটি ফ্ল্যাটের মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৩ কোটি টাকা অবধি ছিল। ৭১১ জন ক্রেতার মধ্যে এখনও অবধি ৬৫২ জন তাদের টাকা ফেরত পেয়েছেন। ফ্ল্যাটের বুকিং বাবদ যে টাকা দিয়েছিলেন, তার পাশাপাশি ১২ শতাংশ সুদও বসানো হয়েছিল ক্ষতিপূরণ বাবদ। ক্রেতারা তাদের ফ্ল্যাটের দামের যত টাকা অগ্রিম করেছিলেন, সেই অঙ্ক ও ১২ শতাংশ সুদের হারে টাকা ফেরত পান। তবে সুপারটেক লিমিটেড সংস্থার কাছ থেকে এখনও ৫৯ জন তাদের প্রাপ্য টাকা পান বলে অভিযোগ।
দেউলিয়া সংস্থা-
২০২১ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়েই চলতি বছরের ৩১ মার্চের মধ্যেই টুইন টাওয়ারের ফ্ল্যাট ক্রেতাদের প্রাপ্য টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মার্চ মাসেই ওই নির্মাণকারী সংস্থার তরফে জানানো হয় যে, তারা দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে, আর টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব নয় তাদের পক্ষে। অথচ আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, টুইন টাওয়ার ভাঙতে যে ২০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে, তার ৫ কোটি টাকা দিতে হবে সুপারটেক লিমিটেডকে। বাকি টাকা রাবিশ বিক্রি করে তোলা হবে। এই ভাঙন প্রক্রিয়ায় যদি আশেপাশের কোনও বাড়ির ক্ষতি হয়, তবে সেই ক্ষতিপূরণও সুপারটেক সংস্থাকেই দিতে হবে। এবার এই টাকা কোথা থেকে দেবে সুপারটেক সংস্থা, তা কেউই জানে না।