হড়কে গেল টাটা মোটরসের চাকা, খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে লগ্নিকারীরা, বাঁচার উপায়?

Share Market: বুধবার টাটা মোটরস লিমিটেডের শেয়ার দর ১০০০-র গণ্ডির নীচে নেমে যায়। ৫.৮৩ শতাংশ পতন হয়ে শেয়ারের দাম ৯৭৫.০৫ টাকায় পৌঁছয়। আজও অব্য়াহত রয়েছে পতনের ধারা। এরপরই চিন্তায় পড়েছে বিনিয়োগকারীরা।

হড়কে গেল টাটা মোটরসের চাকা, খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে লগ্নিকারীরা, বাঁচার উপায়?
টাটা মোটরস।Image Credit source: Indranil MUKHERJEE/AFP
Follow Us:
| Updated on: Sep 12, 2024 | 4:00 PM

নয়া দিল্লি: সময়টা খারাপ যাচ্ছে রতন টাটার। হু হু করে পড়ছে টাটা মোটরসের স্টক। বুধবার টাটা মোটরস লিমিটেডের শেয়ার দর ১০০০-র গণ্ডির নীচে নেমে যায়। ৫.৮৩ শতাংশ পতন হয়ে শেয়ারের দাম ৯৭৫.০৫ টাকায় পৌঁছয়। আজও অব্য়াহত রয়েছে পতনের ধারা। এরপরই চিন্তায় পড়েছে বিনিয়োগকারীরা। হঠাৎ এমন পতনে অনেকেরই মনে শঙ্কা, টাটা মোটরসের শেয়ার কি বিক্রি করে দেওয়া উচিত?

যেখানে ৩০ জুলাই টাটা মোটরসের শেয়ারের মূল্য সর্বোচ্চ ১১৭৯.০৫ টাকায় পৌঁছেছিল, সেখানেই শেয়ারের দামে ১৭.৩০ শতাংশ পতন হয়ে ৯৭৫.০৫ টাকায় পৌঁছেছে। হঠাৎ শেয়ারে এত পতন হওয়ায় বাজার বিশেষজ্ঞদের একাংশই পরামর্শ দিয়েছেন টাটা মোটরসের শেয়ার বিক্রি করার। প্রতি শেয়ারের টার্গেট মূল্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৮২৫ টাকায়।

বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ প্রায় ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার শেয়ারের হাত বদল দেখেছে। যা গত ২ সপ্তাহের প্রায় তিন গুণ, যে সময়ে এই সংখ্যাটা ছিল গড়ে ৪ লক্ষ ২৩ হাজার। এই সময়ে কাউন্টার টার্নওভার ছিল প্রায় ১৩৩.২৩ কোটি টাকা। এই কাউন্টার টার্নওভার ৩,৬১,৩৪৩.৯৪ কোটি টাকার বাজারি মূলধনের অঙ্ককে নির্দেশ করে।

এই খবরটিও পড়ুন

কেন শেয়ারে পতন হচ্ছে?

টাটা মোটরসের শেয়ারে হঠাৎ পতনের অন্যতম কারণ হল টাটার ব্রিটিশ শাখা সংস্থা জাগ্যুয়ার ল্য়ান্ড রোভারের মার্জিনের চাপ। টাটার প্রিমিয়াম মডেলের চাহিদা ক্রমশ কমছে। এমনকী, প্রাক-করোনা পর্বে গাড়ির যে চাহিদা ছিল, তার থেকেও কমে গিয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে জাগ্যুয়ার ল্যান্ড রোভারের বুকিং হয়েছে ১ লক্ষ ৪০০০। গত অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে এই অর্ডারের পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ৩৩ হাজার। রেঞ্জ রোভার সিরিজের বিক্রি বাড়াতে টাটা ডিসকাউন্টের ঘোষণা করতে পারে বলেও অনুমান।

বিনিয়োগ কি তুলে নেওয়া উচিত?

বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, টাটা মোটরস তথা টাটা গোষ্ঠী এর আগেও একাধিক ধাক্কা সামলেছে। অটো সেক্টরে গতি হ্রাস, হাজার হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি, ঋণের বোঝা, জাগ্যুয়ার ব্রান্ডের একের পর এক ব্যর্থতা- এই সমস্ত ধাক্কা পার করেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সেই উদাহরণ দেখেই বাজার বিশেষজ্ঞদের মত, যদি দীর্ঘমেয়াদে কেউ বিনিয়োগ করে থাকেন, তবে টাটা মোটরসের শেয়ারে পতন নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই।