Union Budget Reaction: বাজেট ভাল না মন্দ? কে কী বললেন, জেনে নিন

Opposition Reaction: শাসক থেকে বিরোধী দলের বিভিন্ন নেতারা নির্মলার বাজেট নিয়ে কী বললেন দেখে নিন একনজরে।

Union Budget Reaction: বাজেট ভাল না মন্দ? কে কী বললেন, জেনে নিন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 01, 2023 | 4:05 PM

নয়াদিল্লি: ২০২৩ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট বুধবার পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেই বাজেটে বিভিন্ন বিষয়ে একাধিক ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিকাঠামো খাতে বরাদ্দের খতিয়ানও এ দিন জানিয়েছেন নির্মলা। সিগারেট, সোনা, রুপোর দাম যেমন বেড়েছে। তেমন মোবাইল, ক্যামেরার লেন্সের মতো বিভিন্ন জিনিসের দাম কমবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি আয়করে ছাড়ের ঘোষণাও করা হয়েছে। এ বারের বাজেটে যে সাতটি বিষয়ের উপর জোর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী, তার নাম তিনি দিয়েছেন ‘সপ্ত ঋষি’। এই সপ্ত ঋষি অমৃতকালের দিতে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখাবে বলে দাবি মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রীর। নির্মলা সীতারামনের এই বাজেট নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া হল রাজনৈতিক মহলে। শাসক থেকে বিরোধী দলের বিভিন্ন নেতারা নির্মলার বাজেট নিয়ে কী বললেন দেখে নিন একনজরে।

Key Highlights

  1. ২০২৩ সালের বাজেটের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, “আজকের বাজেট দেখালো কী ভাবে নারীশক্তি জাতিকে শক্তিশালী করে তোলে।” মধ্যবিত্তের জন্য এই বাজেট বলেও দাবি ইরানির।
  2. বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য এই বাজেট নিয়ে বলেছেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কর্নাটকের ভদ্র এলাকায় সেচের জন্য পাঁচ হাজার কোটির টাকার ঘোষণা ওই রাজ্যের ভোদ বদলে দেবে।”
  3. কিছু ভাল দিক থাকলেও গরির এবং গ্রামীণ খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য এই বাজেটে কোনও দিশা নেই বলে মনে করেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। তিনি বলেছেন, “২০২৩ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটের কিছু ভাল দিক আছে। কিন্তু মনরেগার কোনও উল্লেখ নেই এই বাজেটে। মৃল্যবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, গ্রামের গরিব শ্রমিকদের নিয়েও কোনও ঘোষণা নেই। কিছু মূলগত প্রশ্নের উত্তর মেলেনি এই বাজেটে।”
  4. বাজেট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া সমালোচনা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, “এই বাজেটে আশার আলো নেই, অমাবস্যার অন্ধকার।” এর পাশাপাশি তিনি বলেছেন, “কেন্দ্রীয় বাজেট গরিব-বিরোধী।”
  5. নির্মলা সীতারামনের পেশ করা বাজেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, “এই বাজেটে মানুষের উপকার হবে। ঐতিহাসিক বাজেট পেশ করেছেন সীতারামন। বাজেটে মহিলা, যুবদের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।”
  6. ২০২৩-২৪ অর্ষবর্ষের বাজেট মানুষকে ‘আশা’র বদলে ‘নিরাশা’ দিয়েছে। বুধবার অর্থমন্ত্রীর বাজেটের এ ভাবেই সমালোচনা করলেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। এই বাজেটের জেরে দেশে মূল্যবৃদ্ধি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, “দেশের কয়েক জন ধনী মানুষকে সুবিধা দেবে এই বাজেট। কৃষক, শ্রমিক, ছোট ব্যবসায়ীদের নিরাশা দেবে।”
  7. গুজরাতের কে সুরেশ, অসমের গৌরব গগোইয়ের মতো কংগ্রেস সাংসদ মনে করেছেন এই বাজেটে সাধারণ মানুষ উপক্ষিত। কর্পোরেটদের সুবিধা দেখা হয়েছে বাজেটে। সাধারণ মানুষের জন্য বাজেটে ঘোষণাগুলি সমুদ্রে এক ফোটা জল ফেলার মতো বলে দাবি ওই কংগ্রেস সাংসদদের।
  8. জেডিইউ সাংসদ রাজীব রঞ্জনও বাজেটের সমালোচনায় মুখর। তিনি বলেছেন, “এই বাজেট স্বপনো কা সওদাগরের মতো। যখন স্বপ্ন ভাঙবে তখন দেখবেন কিছুই সত্যি হয়নি। বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধির মোকাবিলার ব্যাপারে কোনও উল্লেখই নেই এই বাজেটে।”
  9. বিআরএস নেত্রী কবিতা কালভাকুন্তলা বাজেটের সমালোচনা করে বলেছেন, “মোদী সরকারের ব্যর্থতার গাণিতিক হিসাবে এই বাজেট। আগামী দিনে যে সব রাজ্যে ভোট আছে, সেখানকার জন্য ঘোষণা রয়েছে। পরিকাঠামো খাতে খরচের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোন পরিকাঠামো তা বলা নেই।”
  10. পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি বাজেটের সমালোচনা করে বলেছেন, “সাধারণ মানুষকে সুবিধা দেওয়ার বদলে ভর্তুকি, জনকল্যাণমূলক প্রকল্প তুলে নেওয়া হল। যারা গরিবি স্তর থেকে উন্নীত হয়েছিলেন, এর জেরে তাঁরা ফের গরিব হয়ে পড়বেন।”
  11. হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর অবশ্য এই বাজেটকে ঐতিহাসিক অ্যাখ্যা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রশংসাও শোনা গিয়েছে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।
  12. ২০২৩ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি বলেছেন, “প্রথম অমৃত কাল বাজেট দেখালো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দূরদর্শিতা। এই বাজেট দেখালো অর্থনীতির স্থিতাবস্থা, অর্থনীতির ক্ষমতা। অর্থনৈতিক ক্ষমতায় নীচের দিকে থাকা ব্যক্তিদের জন্যও প্রকল্প আনা হয়েছে। যা মোদীর লক্ষ্যকে পরিষ্কার করেছে।”
  13. কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি কেসি বেণুগোপালও মনে করেছেন দেশের প্রধান সমস্যা সমাধানের কোনও ইঙ্গিত নেই এই বাজেটে। তিনি বলেছেন, “বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধির মতো দেশের প্রধান সমস্যাগুলি নিয়ে কিছুই বলা হয়নি এই বাজেটে। কেবলমাত্র কিছু ফ্যান্সি ঘোষণা করেছেন। যা আগেও করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলির বাস্তব প্রয়োগ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কিসান যোজনায় কেবলমাত্র বিমা সংস্থাগুলি লাভবান হয়েছে।”
  14. কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারামনের পেশ করা ২০২৩ সালের বাজেট নিয়ে আশাহত। বিভিন্ন রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই এই বাজেট বলে মত তাঁর। এ নিয়ে খাড়্গে বলেছেন, “৩-৪টি রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এই বাজেট তৈরি করা হয়েছে। গরিব মানুষ এবং মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে এই বাজেটে কিছুই নেই। সরকারি পদ পূরণ, মনরেগা এবং কর্মসংস্থানের জন্য কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি এই বাজেটে।”
  15. ২০২৩ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটের সমালোচনা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সুরে সুর মিলিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ টুইট করেছেন। সেই টুইটে তিনি লিখেছেন, “ছদ্মবেশী রাবণের বাজেট। সাধুবেশে মা সীতাকে বিভ্রান্ত করে অপহরণ, পরে স্বমূর্তি। যে টুকু নামেই ছাড়, তার পাঁচগুণ সেই ব্যক্তি বা পরিবারের কাছ থেকে ঘুরপথে নিচ্ছে কেন্দ্র। টাকা দেয় না, তাই দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রতিশ্রুতি। কোথাও বাংলার স্কিম নকলের ব্যর্থ চেষ্টা।”
  16. বাজেটের সমালোচনা শোনা গিয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের গলাতেও। বাজেট নিয়ে এক টুইটে তিনি বলেছেন, “এই বাজেটে মূল্যবৃদ্ধি থেকে নিস্তারের উপায় নেই। এই বাজেটের সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি চলবে। বেকারত্ব নিয়ে কোনও শক্তিশালী পদক্ষেপ নেই এই বাজেটে। শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ কমে যাওয়া খুব দুর্ভাগ্যজনক। স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ কম সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর।”