Currency Monitoring List: ভারতের বাণিজ্যিক লেনদেনে আর ‘নজরদারি’ চালাবে না আমেরিকা

Currency Monitoring List: ভারতকে কারেন্সি মনিটরিং তালিকা থেকে বাদ দিল আমেরিকা। এর ফলে ভারতের বাণিজ্যিক লেনদেনে কোনও নজরদারি চালাবে না আমেরিকা।

Currency Monitoring List: ভারতের বাণিজ্যিক লেনদেনে আর ‘নজরদারি’ চালাবে না আমেরিকা
ছবি সৌজন্যে: ANI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 12, 2022 | 10:49 PM

দু’বছর আগে ভারতের অর্থনৈতিক লেনদেনের ওপর নজরদারি শুরু করেছিল আমেরিকা। মুখে ‘পার্টনার’ বললেও ভারতের ওপর যে ‘কিঞ্চিৎ অবিশ্বাস’ রয়েছে, তাই ব্যক্ত হয়েছিল ওয়াশিংয়টনের সেই সিদ্ধান্তে। তবে ২০২০ সালের সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল আমেরিকা। অর্থাৎ, ওয়াশিংটনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, ভারতের অর্থনৈতিক লেনদেনের ওপর আর নজরদারি চালাবে না তারা। অর্থাৎ, মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ভারতকে তাদের ‘কারেন্সি মনিটরিং লিস্ট’ থেকে বাদ দিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক নিয়ে অস্বস্তিতে থাকা আমেরিকার এই বড় ঘোষণায় স্বভবাতই স্বস্তিতে নয়াদিল্লি।

প্রসঙ্গত, মার্কিন ‘কারেন্সি মনিটরিং লিস্টে’ থাকা দেশগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক লেনদেনের সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে থাকে আমেরিকা। এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিকে আমেরিকার তরফে ‘কারেন্সি ম্যানিপুলেটর’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়ে থাকে। তবে ভারত এবার সেই তকমা থেকে মুক্তি পেল। সাধারণত যেসব দেশ লাগাতার ১২ মাস ধরে নিজেদের জিডিপির ২ শতাংশ বেশি বিশ্বের মুদ্রা বাজারে বিনিয়োগ করে থাকে এবং বর্তমানে জিডিপির ২ শতাংশ বেশি পরিমাণে আমেরিকার সঙ্গে ব্যবসা করে থাকে তাহলে সেই বাণিজ্যিক পার্টনারের লেনদেনের উপর মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট নজরদারি চালায়। উল্লেখ্য, ভারত-মার্কিন বিজনেস সামিট চলছে বর্তমানে। সেই সম্মেলনে যৌথভাবে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি। এরই মাঝে এই ঘোষণা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এদিকে মার্কিন কংগ্রেসে পেশ করা অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদনে ট্রেজারি জানিয়েছে, ভারতের পাশাপাশি ইতালি, মেক্সিকো, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামকে ‘কারেন্সি মনিটরিং লিস্ট’ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরেই ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার অর্থনৈতির সম্পর্ক গায়ে জ্বালা ধরিয়েছে আমেরিকার। ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়া থেকে ‘বিশেষ ছাড়ে’ ভারত জ্বালানি তেল কিনেছে রাশিয়া থেকে। বারংবার আমেরিকার ‘নিষেধ’ সত্ত্বেও দিল্লি তার স্বাধীন সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর থেকে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে বারংবার। যদিও আমেরিকা রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। অর্থাৎ, রাশিয়ার থেকে কেনা তেলের দাম ডলারে চুকোতে পারবে না কোনও দেশ। এমনকি বিশ্ব ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার ‘স্তম্ভ’ হিসেবে পরিচিত ‘সুইফট’ থেকেও বাদ পড়েছে মস্কো। তবে এই সবের মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে ভারত তাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এই আবহে ভারতের ওপর থেকে আমেরিকার ‘নজরদারি’ প্রত্যাহার একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।