Wage gap: Employee আর CEO-এর বেতন এত ফারাক! দেখুন এই সব কোম্পানির ‘আকাশ-পাতাল’ বেতন বৈষম্য
Wage gap between CEO and average workers: কোনও সংস্থার সিইও যা বেতন পাবেন, একজন সাধারণ কর্মচারীও সেই বেতন পাবেন - এটা আশা করা যায় না। অবশ্যই তাদের বেতনের মধ্যে পার্থক্য থাকবে। কিন্তু, বৈষম্যেরও তো একটা সীমা থাকে। ভারতের বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলি সেই সব সীমা পার করে দিচ্ছে।
নয়া দিল্লি: কোনও সংস্থার সিইও যা বেতন পাবেন, একজন সাধারণ কর্মচারীও সেই বেতন পাবেন – এটা কখনই আশা করা যায় না। অবশ্যই তাদের বেতনের মধ্যে পার্থক্য থাকবে। কিন্তু, বৈষম্যেরও তো একটা সীমা থাকে। ভারতের বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলি সেই সব সীমা পার করে দিচ্ছে। লাইভ মিন্টের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার সিইও এবং সাধারণ কর্মচারীদের বেতন বৈষম্যের চিত্র ধরা পড়েছে।
এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে কোনও কোনও সংস্থার সিইওদের বেতন, সাধারণ কর্মচারীদের ১১০০ গুণেরও বেশি। শুধু তাই নয়, কোভিড মহামারি, আর্থিক অনিশ্চয়তার এই সময়ে যখন অনেক সংস্থার সাধারণ কর্মচারীদের বেতন সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে কিংবা কমে গিয়েছে, সেই একই সময়ে সিইওদের বেতন বেড়েছে কোনও কোনও ক্ষেত্রে ৩০০ শতাংশেরও বেশি!
সিইও বনাম সাধারণ কর্মচারীদের এই বেতন বৈষম্যের দিক থেকে সবার আগে আছে ‘টেক মাহিন্দ্রা’ সংস্থা। এই সংস্থার একজন সাধারণ কর্মচারীর বার্ষিক বেতন গড়ে ৫.২৭ লক্ষ টাকা। সেখানে সংস্থার সিইও সিপি গুরনানি বছরে বেতন নেন ৬২.৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ, সাধারণ কর্মচারীর তুলনায় সিইও বেতন পান ১১৮৭ গুণ বেশি। সেই সঙ্গে একজন সাধারণ কর্মচারীর বেতন যেখানে কমেছে,সেখানে গুরনানির বেতন বেড়েছে ৩৩৫ শতাংশ!
প্রায় একই চিত্র ‘ইনফোসিস’ সংস্থাতেও। এই সংস্থার একজন সাধারণ কর্মচারির বার্ষিক বেতন ৮.১৪ লক্ষ টাকা। সংস্থার সিইও সলিল পারেখের বেতন ৭০.৯ কোটি টাকা, সাধারণ কর্মচারীর বেতনের থেকে ৮৭২ গুণ বেশি। আর তাঁর বেতন বৃদ্ধি হয়েছে ৪৩ শতাংশ, যেখানে সাধারণ কর্মচারিদের বেতন বেড়েছে মাত্র ১২.৯ শতাংশ।
একইভাবে ‘লার্সেন অ্যান্ড টুর্বো’ সংস্থার সিইও এস এন সুব্রহ্মণ্যনের বার্ষিক বেতন ৬১.২ কোটি টাকা। বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে ১১৫ শতাংশ। সংস্থার একজন সাধারণ কর্মচারীর বেতন সিইও-র থেকে ৬৭০ গুণ কম, ৯.১৪ লক্ষ টাকা। বেতন বৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৬.৬৭ শতাংশ।
‘টিসিএস’-এর ক্ষেত্রে এই বেতন বৈষম্যের চিত্রটা কিছুটা উন্নত। সিইও রাজেশ গোপীনাথন বছরে বেতন পান একজন সাধারণ কর্মচারীর বেতনের তুলনায় ৩৯৬ গুণ বেশি, ২৫.৭ কোটি টাকা। তাঁর বেতন বৃদ্ধি হয়েছে ২৬.৫ শতাংশ। পাশাপাশি সংস্থার সাধারণ কর্মচারীদের ৪.২৪ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির পর বার্ষিক বেতন দাঁড়িয়েছে ৬.৫ লক্ষ টাকা।
সিইও এবং সাধারণ কর্মীদের মধ্যে বেতন বৈষম্য বৃদ্ধি শুধু যে নৈতিক সমস্যা, তা নয়। এটা একটি ব্যবসায়িক এবং অর্থনৈতিক সমস্যাও বটে। স্পষ্টতই এর ফলে সমাজে আর্থিক বৈষম্য বৃদ্ধি পায়। যা কোনও দেশের অর্থনীতির জন্য ভাল খবর নয়। কারণ মধ্যবিত্ত মানুষই কোনও অর্থনীতিকে সচল রাখে। অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধি মানে, মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া, যা সরাসরি চাহিদা এবং উৎপাদনে প্রভাব ফেলে থাকে।