Credit Suisse: পতনের মুখে আরও এক মার্কিন ব্যাঙ্ক, উদ্বিগ্ন ওয়াল স্ট্রিট বিশ্লেষক

Credit Suisse: সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক এবং সিগনেচার ব্যাঙ্কের পতনে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। এরপর আরও একটি মার্কিন ঋণদানকারী ব্যাঙ্কে ধস নামতে পারে বলে পূর্বাভাস দিলেন ওয়াল স্ট্রিট বিশ্লেষক তথা রিচ ড্যাড কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা রবার্ট কিয়োসাকি।

Credit Suisse: পতনের মুখে আরও এক মার্কিন ব্যাঙ্ক, উদ্বিগ্ন ওয়াল স্ট্রিট বিশ্লেষক
আরও একটি মার্কিন ঋণদানকারী ব্যাঙ্কে ধস নামতে পারে বলে পূর্বাভাস দিলেন ওয়াল স্ট্রিট বিশ্লেষক তথা রিচ ড্যাড কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা রবার্ট কিয়োসাকি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 15, 2023 | 7:55 PM

ওয়াশিংটন: সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক এবং সিগনেচার ব্যাঙ্ক – পর পর দুই বড় মাপের মার্কিন ব্যাঙ্কের পতনের ফলে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। যার ফলে ব্যাপক পতন ঘটেছে এশিয় স্টক মার্কেটগুলিতে। একই দৃষ্ঠ দেখা গিয়েছে ইউরোপেও। তবে, এখানেই শেষ নয়। আরও একটি মার্কিন ঋণদানকারী ব্যাঙ্কে ধস নামতে পারে বলে পূর্বাভাস দিলেন ওয়াল স্ট্রিট বিশ্লেষক তথা রিচ ড্যাড কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা রবার্ট কিয়োসাকি। ২০০৮ সালে লেম্যান ব্রাদার্সের পতনের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তিনি। এখন তিনি দাবি করেছেন, পতন ঘটতে পারে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী ব্যাঙ্ক, ক্রেডিট সুইস ব্যাঙ্কেরও। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কিয়োসাকি বলেছেন, “মূল সমস্যা হল বন্ড মার্কেট এবং আমি মনে করি এর পর যে ব্যাঙ্কটি ডুবতে চলেছে সেটি হল ক্রেডিট সুইস।”

রিচ ড্যাড কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতার মতে, অদূর ভবিষ্যতে মার্কিন ডলার আরও দুর্বল হবে। এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে গুরুতর সমস্যায় ফেলবে বন্ড মার্কেট। কিয়োসাকি বলেছেন, “স্টক মার্কেটের থেকে অনেক বড় বন্ড মার্কেট। আর ফেডেরাল সরকার একই সঙ্গে আগুন লাগাচ্ছে এবং আগুন নেভানোর কাজ করছে। মার্কিন ডলার এই মুহূর্তে বিশ্বে তার একাধিপত্য হারাচ্ছে। তাই সরকার আরও বেশি করে জলার বিল প্রিন্ট করছে। জলার যাতে ডুবে না যায়, সেই চেষ্টা করছে।” কিয়োসাকি আরও জানিয়েছেন, বন্ড মার্কেটে ধস নামছে এবং একই সময়ে একটা গোটা প্রজন্ম অবসর নিতে চলেছে। এই কারণে অর্থনীতিতে বড় মাপের ‘ঝড়’ উঠতে চলেছে। আর এই কারণেই তিনি ক্রেডিট সুইস ব্যাঙ্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই অস্থির সময়ে তিনি লগ্নিকারীদের রুপো এবং সোনায় বিনিয়োগে করার পরামর্শ দিয়েছেন।

কিয়োসাকির এই ভবিষ্যদ্বাণীর কয়েক ঘন্টা পরই ক্রেডিট সুইস তাদের ২০২১ এবং ২০২২ অর্থবছরের রিপোর্টে “মেটেরিয়াল উইকনেস” বা “বস্তুগত দুর্বলতা” রয়েছে বলে স্বীকার করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কিছু সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়েছে ক্রেডিট সুইসকে। এর মধ্যে ২০২২ সালে ইউএস অ্যাসেট ম্যানেজার আর্চেগোস এবং ব্রিটিশ ফার্ম গ্রিনসিলের পতন রয়েছে। সেই ক্ষতি সামাল দিতে ৪৪ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করে ক্রেডিট সুইসকে পুনর্গঠন করতে হয়েছিল। বন্ধ করে দেওয়া হয় তাদের প্রধান ব্রোকারেজ ইউনিট এবং সেই সঙ্গে তাদের বিনিয়োগ ব্যাঙ্কিং পরিষেবার পরিসরও কমিয়ে ফেলা হয়। ২০২১-এর মার্চ থেকে ক্রেডিট সুইসের বাজার দর কমেছে প্রায় ৮০ শতাংশ।