Business & Economy: ভারতে মূল্যবৃদ্ধির পিছনে রয়েছে ঠিক কোন কোন কারণ? অন্যান্য দেশও কি ভুক্তভুগী নয়?
price hike: রাশিয়া-ইউক্রেন ইতিমধ্যে ১০০ দিন অতিক্রম করেছে। ইউরোপে যুদ্ধ হলেও গোটা বিশ্বে এই যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে যা ফলে স্টক মার্কেটেও মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।
নয়া দিল্লি: বিগত ২ বছর ধরে করোনা মহামারির কারণে স্টক মার্কেটে অস্থিরতা লক্ষণীয় হয়েছে। এমনকী বিগত বছরগুলিতে বিনিয়োগকারীদেরও নানান সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। পরবর্তীকালে বাজার চাঙ্গা হওয়ার ফলে বুল অন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল কিন্তু, সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাজারে নতুন করে সমস্যা তৈরি হয়েছে। ২০২১ সালে অক্টোবরের ১৯ তারিখ বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে সেনসেক্স এবং নিফটি ৬২২৪৫.৪৩ এবং ১৮৬০২.৪৫ ছুঁয়েছিল। কিন্তু বাজারে অস্থিরতার কারণে ৩ জুন সেনসেক্স ৫৫,৭৯৬.২৩ এবং নিফটি ১৬৫৮৪.৩০ হয়েছিল। এই দুই পরিসংখ্যান থেকে ফারাকটা স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে।
মুদ্রাস্ফীতি যখন দুশ্চিন্তার কারণ
২০২০-২০২১ অর্থবর্ষে অর্থনীতিতে তারল্যের ফলে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি দেখা গিয়েছিল। করোনা পরবর্তী পর্যায়ে গোটা বিশ্বের আর্থিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক নেই। ব্রিটেন এবং আমেরিকার মত উন্নত বাজারে মুদ্রস্ফীতি বিগত ৪০ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। এপ্রিলে ভারতেও নিত্যনৈমিত্তিক জিনিসের দাম ৭.৭৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে আট বছরের মধ্যে সবথেকে ওপরে পৌঁছেছিল। এর ফলে বাধ্য হয়ে সংস্কারের লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া।
বাড়তে থাকা সুদের হার
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। এই সিদ্ধান্তে আশ্চর্য হওয়ার মতো কিছুই নেই কারণ, কারণ মূল্যবৃদ্ধি হলে দেশে উন্নয়নের কাজ চলতেই থাকে সেই কারণে বিকল্প আয়ের বন্দোবস্ত করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, অন্তত এমনটাই জানিয়েছিলেন শক্তিকান্ত দাস। বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্তের ফলে গাড়ি, বাড়ি সহ একাধিক ক্ষেত্রে ঋণের ওপর সুদের হার অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল। তবে শুধুমাত্র ভারতই নয়, আমেরিকাও বিগত ২২ বছরে সুদের হারে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি ঘটিয়েছিল, যা ফলে দেশেও জিনিসপত্রের দামেওৎ ওপর এর প্রভাব পড়েছে।
বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা
রাশিয়া-ইউক্রেন ইতিমধ্যে ১০০ দিন অতিক্রম করেছে। ইউরোপে যুদ্ধ হলেও গোটা বিশ্বে এই যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে যা ফলে স্টক মার্কেটেও মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। এই যুদ্ধের ফল রাশিয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে এবং সাপ্লাই চেইনের সমস্যার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। মূল্যবৃদ্ধির আরও একটি কারণ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড অয়েলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলারে পৌঁছেছে। রাশিয়ান ব্যাঙ্ক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং জ্বালানির ওপর মার্কিন ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া থেকে জ্বালানি রফতানি যদি বন্ধ হয় তবে, অপরিশোধিত তেল, গ্যাস সহ জ্বালানির দাম আরও বাড়তে পারে।